ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া নেতা-মন্ত্রীদের আদালত চাইলে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কয়েকজন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকে ভারতে ঘুরতে দেখা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা হয়েছে, তাদের ফেরত আনার কোন উদ্যোগ নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সেখানে ঘুরছে সেটি আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন আমিও ততটুকুই দেখেছি। এরচেয়ে বেশি কিছু আমি জানি না। যেহেতু মামলা হচ্ছে বা হয়েছে কোর্ট থেকে যদি বলে তাদের হাজির করতে হবে অবশ্যই আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।
সম্প্রতি অমিত শাহের একটি বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ নোট দেয়া হয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন, যে বক্তব্যগুলো আপাত দৃষ্টিতে শোভন নয়। সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীরব কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এ ধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদে যে বক্তব্য দিয়েছি সেটাই আপাতত যথেষ্ট। দেখা যাক পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়। তাদের তো সামনে নির্বাচন আছে। সেগুলো নিয়েই তারা কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন।
ভারতে বিভিন্ন সাবেক এমপি-মন্ত্রী আছেন, তাদের অবস্থান দেখা যাচ্ছে। তারা ট্রাভেল পাস ইস্যু করে অন্য দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের ট্রাভেল পাস ইস্যু করবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মিশন ট্রাভেল পাস ইস্যু করতে পারে শুধুমাত্র দেশে ফেরার জন্য। অন্য কোন দেশে যাওয়ার জন্য নয়। সেটার জন্য পাসপোর্ট লাগে, পাসপোর্ট তো ন্যাচারালি ইস্যু করা হবে না। তারা যদি বাংলাদেশে ফিরতে চায় তাহলে অবশ্যই তাদের ট্রাভেল পাস ইস্যু করা যেতে পারে এবং তারা দেশে ফিরে আসতে পারে। ট্রাভেল পাস শুধু ওয়ান ওয়ে টু বাংলাদেশ।
৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনীতিকসহ কারা দেশ ছেড়েছে, এমন কোনো তালিকা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে এমন কোনো তালিকা নেই। তবে যদি মনে হয় এ ধরনের তালিকা করা প্রয়োজন আমাদের, তাহলে আমরা চাইতে পারি।