চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় অধিপত্য বিস্তার ও দোকান দখলে নেয়ার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্কৃয় ভুমিকার অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন-সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের পরিচালিত একটি দোকান দখল করতে আসে হাটহাজারী উপজেলার যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানাফের নেতাকর্মীরা। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি থাকায় তাদের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে জড়ো হন এবং মিছিল নিয়ে আগাতে থাকলে আবারো শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময়ে তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্বে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ করেন। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা হল থেকে বের হয়ে রেল ক্রসিংয়ের দিকে গেলে আবার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গেছে। অসহযোগিতার অভিযোগ সঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৬টা ১৮ মিনিটে খবর পেয়েছি এবং ৬টা ২৬ মিনিটে রেল ক্রসিংয়ের এখানে উপস্থিত হয়েছি। স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়েছিল তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেন শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের কোনো ঝামেলা না হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য সবরকম সহযোগিতা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।’