একদিকে বিমান হামলার ভয়, অন্যদিকে খাবারের সঙ্কটে পুরো পরিবার নিয়ে প্রাণ যায়-যায় অবস্থা। এভাবেই ক্ষুধা ও শত্রুর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। শনিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর সিনিয়র কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ জানিয়েছেন, মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে দিন পার করছেন। যেটুকু খাবার পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। কেউ খাবার পাচ্ছেন, কেউ না পেয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে অপেক্ষা করছেন, কখন খাবার আসবে।
‘এখানে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, একটি আটার বস্তা নিয়ে লড়াই করছে ৩০ থেকে ৪০ জন। এভাবে চলতে থাকলে সবাই না খেয়ে মারা যাবেন,’ ওয়াটারিজ জোর দিয়ে বলেন।
এদিকে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দু’টি বহুতল ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৫০ শিশুসহ কমপক্ষে ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবাসিক ভবন দু’টিতে ১৭০ জন ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। কোনো সতর্কতা ছাড়াই ভবনগুলোতে হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই ঘটনাকে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ বলেও আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
তাদের অভিযোগ, ওই এলাকাটিকে অবরুদ্ধ করে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ফলে উদ্ধারকর্মীরা যেতে পারছে না। পাশাপাশি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সহায়তাও।