পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের একান্ত আস্থাভাজন রোমানা শারমিনকে চট্টগ্রাম ছাড়তেই হচ্ছে। তাকে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের উপ-পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বর মধ্যে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে অবমুক্তির বিষয়টি আদেশে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী জিয়াউল বাসেত স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে বলা হয় “পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগের নিম্ন বর্ণিত কর্মকর্তার প্রেষণাদেশ বাতিলপূর্বক তাকে তার নামের পাশে বর্ণিত পদ এবং কেন্দ্রের বদলি/পদায়ন করা হলো।”
উল্লেখ্য রোমানা শারমিনের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানারকম অনিয়মের অভিযোগ ছিল। বিটিভির এই কেন্দ্রে ঢাকা থেকে যাকেই জিএম পদে পদায়ন করা হতো তার সঙ্গে সিন্ডিকেটের যুক্ত হয়ে তিনি অনিয়মের অংশীদার ছিলেন। সহকর্মীদের তিনি হাছান মাহমুদের একান্ত আস্থাভাজন বলে পরিচয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ সাবেক জিএম আনোয়ার হোসেন রঞ্জুর সঙ্গে মিলেমিশে প্রোগ্রাম ম্যানেজার রোমানা শারমিনের নেতৃত্বে ওই সিন্ডিকেট গত দেড় বছরে অনুষ্ঠানমালার বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটি টাকা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিয়মিত অনুষ্ঠান ধারণ ও প্রচার প্রায় বন্ধ থাকলেও ২ কোটি ২০ লাখ টাকা বাজেট করা হয়েছে। খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর আগে রোমানা দেড় কোটি টাকা উত্তোলন করেছে বলে জানা গেছে।
নারী লোভী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগে গণভবনেও পড়েছিল রোমানা শারমিনের পায়ের চিহ্ন! ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর গিরগিটির মত রং বদলানো শুরু করেন রোমানা শারমিন। আওয়ামী বিরোধী রাজনীতিবিদদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়ে গণ অভ্যুত্থানের পরও প্রায় তিন মাসের বেশি সময় তিনি চট্টগ্রাম চাকরি করেছেন।
তার দুর্ব্যবহারের শিকার বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। রোমানা শারমিনের বদলী আদেশের পর বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আনন্দের রেশ লক্ষ্য করা গেছে।