ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা আলী আকবর ভেলায়তির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা- আইএসএনএ জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও চীনের সাথে ইরানের সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে।
রোববার রাতে প্রকাশিত আইএসএনএ’র ওই প্রতিবেদনে ভেলায়েতি বলেছেন, জানুয়ারিতে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন ইরানের বৈদেশিক নীতির ওপর, ‘বিশেষ করে চীনের সাথে ইরানের সম্পর্কে’ কোনো ‘প্রভাব’ ফেলবে না। তিনি বলেন, ‘ইরান ও চীনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী, ঘনিষ্ঠ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং দেশ দু’টির একে অপরের উপর অনেক ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।’
তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তেহরানে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত কং পেইউ’র সাথে বৈঠককালে এ মন্তব্য করা হয়। ভেলায়তি বর্তমানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা। তিনি ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চীন ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ও ইরানের তেলের প্রধান ক্রেতা। পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইরানের তেলমন্ত্রী মোহসেন পাকনেজাদ গত সপ্তাহে বলেন, নির্বাচনের ট্রাম্পের বিজয়ের পর তেল বিক্রির বিষয়ে ইরানের কোনও ‘গুরুতর উদ্বেগ’ নেই।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি তার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে চীন ও ইরান উভয়ের প্রতি বৈরী মনোভাবের জন্য পরিচিত রাজনীতিবিদ মার্কো রুবিওকে মনোনিত করেছেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির ফলে তেহরানের ওপর পুরানো ও নতুন উভয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো উদ্যোগে ইরানকে জড়িত করার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তোলে। ২০২১ সালে চীন ও ইরান ২৫ বছরের একটি কৌশলগত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে- যাতে শক্তি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত।
সেপ্টেম্বরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, চীন যে কোন ধরনের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতিতেই ইরানকে ‘সমর্থন’ করবে।