মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার বিষয়ে ফোনে নতুন করে কথা বলেছেন। উপত্যকায় বর্তমানে কায়রো, দোহা এবং ওয়াশিংটন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। খবর আল জাজিরার।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা “গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর চলমান প্রচেষ্টার সর্বশেষ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছে যা জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করে, গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটায়”।
এর আগে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন পরোক্ষ আলোচনার ধাপ শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) কাতারের দোহায় পুনরায় শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
সংগঠনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে যত দ্রুত সম্ভব সমঝোতার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নতুন আলোচনায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হবে বলে যোগ করেন তিনি।
মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে মাসব্যাপী পুনরাবৃত্ত আলোচনা করছে। তবে গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাতের অবসান ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। চুক্তির একটি প্রধান বাধা হলো স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে ইসরায়েলের অনীহা।
যদিও গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছিল, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী দোহায় আলোচনার জন্য ইসরায়েলি আলোচকদের অনুমোদন দিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে কাতার আশাবাদ প্রকাশ করেছিল যে যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজয়ের পর আলোচনায় গতি ফিরে আসছে। তবে যুদ্ধবিরতি বিলম্বে এরপর একে অন্যকে দোষারোপ করে হামাস ও ইসরায়েল। হামাস জানায়, ইসরায়েল নতুন শর্ত আরোপ করেছে। ফলে বিরতি যুদ্ধ এখনও আলোর মুখ দেখেনি।