চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীনকে শারীরিকভাবে হেনস্তার ঘটনায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শহীদুল ইসলাম শহীদকে বহিস্কার করা হয়েছে।
তিনি নগরীর চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ছিলেন।আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সিদ্ধান্তে এ বহিস্কার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিস্কারের কথা জানানো হয়।এর আগে গতকার সোমবার দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তা নেজাম উদ্দীনকে পেয়ে শহিদুল ইসলাম শহীদ এবং দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুর হোসেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন নেতাকর্মী ছিলেন।
একপর্যায়ে নেজামের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে পরনের শার্ট ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষুব্ধরা। তাকে মারধরও করা হয়।পরে খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ হেফাজতে নেয় নেজাম উদ্দীনকে। এরই মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শহীদুল ইসলাম শহীদ ফেসবুক তার ফেসবুক আইডিতে একটি লাইভ করেন। লাইভে তিনি বলেন ‘সবাই পাঁচলাইশ থানার সামনে আসেন, ওসি নেজামকে ধরছি’।
এই খবরে পাঁচলাইশ থানার সামনে জড়ো হন শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। নেজামকে গ্রেপ্তার দেখানোর দাবিতে তারা বিক্ষোভ করে থানা ঘেরাও করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, কেউ কোন ধরনের অপরাধ করলে তার জন্য আইন রয়েছে। আইনের মাধ্যমে তার বিচার হতে পারে। কিন্তু একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে নাজেহাল করার ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের উদ্দেশ্যে না।