চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক গুলি চালানোর ঘটনায় হাবিল নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাবিল শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের তেলকুপি নামোপাড়া গ্রামের বেলালের ছেলে। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
বিজিবির সূত্র থেকে জানা যায়, শনিবার আনুমানিক ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধীন তেলকুপি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সাত থেকে আটজন বাংলাদেশি চিহ্নিত চোরাকারবারি চোরাচালানের উদ্দেশে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করলে বিএসএফ টহলদল কর্তৃক তাদেরকে লক্ষ্য করে দুই থেকে তিন রাউন্ড ফায়ার করে। এই ফায়ারের শব্দ শুনে তাৎক্ষণিক বিজিবি টহল দল ঘটনাস্থলে গমন করলে বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা পালিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে বিজিবি জানতে পারে মো. হাবিল নামে একজন চিহ্নিত চোরাকারবারি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা যায়, এই সময় তেলকুপি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ পাঁচ কি. মি. সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি কোনো কৃষক অবস্থান করছিলেন না এবং তেলকুপি বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে দুটি টহল দল সেখানে টহলরত অবস্থায় ছিল।
মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, শনিবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে সাত থেকে আটজন চোরাকারবারি সীমান্ত পিলার-১৮০ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এই সময় বিএসএফ দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে হাবিল নামে একজন চিহ্নিত চোরাকারবারি আহত হয়। এ ছাড়া এই ঘটনায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং এ ব্যাপারে বিএসএফকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।