দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ান ও ইসলামিক টিভিসহ বন্ধ করে দেয়া সকল গণমাধ্যম অবিলম্বে চালুর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, ভিন্নমত দলনের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে এসব গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান্।
সংগঠনের নূর আহমদ সড়কস্থ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভিন্নমতের গণমাধ্যমসমূহ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, যা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্রের পরিপন্থি।
সরকারের গণমাধ্যম দলনের এমন তৎপরতার নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, কোন সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজে এভাবে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ নজীরবিহীন। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র বজায় রাখতে হলে অবশ্যই বন্ধ গণমাধ্যমসমূহ খুলে দিতে হবে।
বক্তারা বলেন, আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করার কারনে গণমাধ্যম বন্ধের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে, বেকার হচ্ছেন সংবাদকর্মীরা। সাংবাদিকদের কোন নিরাপত্তা নেই। দীর্ঘদিনেও বিচার হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর- রুনি হত্যার।
বক্তারা বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার পাশাপাশি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, প্রতিথযশা সাংবাদিক শফিক রেহমান ও বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার , গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত, সংবাদমাধ্যমের জন্য প্রতিনিধিত্বমূলক নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানান।
বিএফইউজে কার্য নির্বাহী সদস্য জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও সিএমইউজে সাংগঠনিক সম্পাদক মজুমদার নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সরওয়ার উদ্দিন আহমদ , মোহাম্মদ সেলিম, শহীদুল ইসলাম, সালেহ নোমান, মাহবুবুর রহমান, এসএম জাহেদুল হক, মো. ওসমান গণি, এম দিদারুল হক, মোহাম্মদ হোসেন, আবদুল করিম প্রমুখ।