যেখানে সেখানে সেলফি তোলার প্রবণতা বিপজ্জনক ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে সেটা আবারও প্রমাণ হলো। বরগুনার তালতলীর ট্যাড়াগিরি ইকোপার্কে কুমিরের সঙ্গে সেলফি তুলতে যান এক দর্শনার্থী। আকস্মিক একটি কুমির তাকে গভীর পানিতে টেনে নিয়ে মেরে ফেলে।
নিহত দর্শনার্থীর নাম আসাদুজ্জামান রণি। তিনি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক মো. গোলাম মোস্তফার একমাত্র ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর দুইটার দিকে তালতলীর ট্যাংড়াগিরি ইকোপার্কের কুমির প্রজনন কেন্দ্রে কুমির দেখতে যান রণি। তিনি বিপৎসীমার প্রাচীর টপকে একটি কুমিরের কাছাকাছি গিয়ে সেলফি তুলার চেষ্টা করেন। এসময় আকস্মিকভাবে একটি কুমির তাকে কামড়ে ধরে। কুমিরটি তাকে টেনে পুকুরের গভীরে নিয়ে যায়। কুমিরটি কামড়ে ধরে পুকুরে ঘুরতে থাকে। তাকে যখন ছেড়ে দেয় ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা রণির মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তালতলীর ফকীরহাট বনভূমির বিট কর্মকর্তা সজিব কুমার মজুমদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় বনকর্মীরা সাথে সাথে সেখানে ছুটে যান। ততক্ষণে কুমিরটি দর্শনার্থী রণির মৃতদেহ ছেড়ে দিলে তা পুকুরে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় অধিবাসীসহ তালতলী থানা পুলিশের সহযোগিতায় দীর্ঘ দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বিপৎসীমার প্রাচীর না টপকানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ হালদার বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।