সিলেট নগরীর পুলিশ চেকপোস্টে জঙ্গিরা বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬ জনে। এর মধ্যে ২ জন পুলিশ ২ জন ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জন মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট পুলিশ।
এ পরিস্থিতিতে সারাদেশে পুলিশের সর্তক অবস্থান জারী করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর মাদ্রাসার সামনে দুই দফা আত্মঘাতি এ বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন।
ওই হামলার প্রায় ঘন্টাখানেক পর উদ্ধারকৃত আরেকটি বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় তা বিস্ফোরিত হলে আহত হন র্যাব ও পুলিশের ৫ সদস্য। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে র্যাব ৯ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও মেজর আজাদ ও দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হারুনুর রশিদ রয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ঘটনার পরপরই মারা যান হলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সিটি এসবি’র ইনসেপক্টর ও সুনামগঞ্জ শহরের জামাইপাড়ার মরহুম এডভোকেট আছদ্দর আলী চৌধুরী ছেলে আবু কয়সর দিপু, স্থানীয় লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম অপু (২২), নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম (৩৮) এবং মাসুক মিয়া।
শনিবার রাত সোয়া ২টার দিকে এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মনিরুল ইসলাম মারা যান।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জেদান আল মূসা।
এর কিছুক্ষণ আগে রাত পৌনে ২টার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জান্নাতুল ফাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। ফাহিম দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
জানাগেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে কাছের একটি জায়গায় দুই দফা বিস্ফোরণেে এ হতাহতের ঘটনায় পুরো সিলেট শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া সিলেটের গোটাটির এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন রশিদসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে র্যাব বের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। রাত ১০টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে বিস্ফোরণে আহত আরও ১৭ জন ওসমানী মেডিক্যালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা হলেন- মোস্তাক আহমেদ, নাজিমউদ্দিন, রোমেল আহমেদ, অহিদুল ইসলাম, ইসলাম আহমেদ, নুরুল আলম, বিপ্লব হোসেন, আব্দুর রহিম, সত্তারউদ্দিন, রাহিম মিয়া, হোসেন আহমেদ, মামুন আহমেদ, ফারুক মিয়া, সালাউদ্দিন শিপার, গুলজার আহমেদ, রিমন আহমেদ ও আজমল আলী। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।