সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের কাছে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৭টা ও রাত ৮টায় শিববাড়ি এলাকায় বোমা দু’টি বিস্ফোরিত হয়। প্রথম বোমাটি জঙ্গিদের হামলার মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোটাটিকর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্টে বিস্ফোরিত হয় এবং দ্বিতীয়টি উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে এর বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে আহত হওয়ার পর এই র্যাব কর্মকর্তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে কয়েক দফা অস্ত্রোপচারের পর মধ্যরাতে তাকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আবুল কালাম আজাদকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসক অন্তর দীপ নন্দী বলেন, “তাঁকে মুমুর্ষূ অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর সারা শরীরে স্প্লিন্টার ছিল। এখানকার চিকিৎসকরা বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচার করেছেন। স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।”
রাত ১২টায় সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব কর্মকর্তা আজাদকে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে দুই দিন ধরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামের এ অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো।
বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও মেজর পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণে আহত আরও ১৭ জন ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা হলেন- মোস্তাক আহমেদ, নাজিমউদ্দিন, রোমেল আহমেদ, অহিদুল ইসলাম, ইসলাম আহমেদ, নুরুল আলম, বিপ্লব হোসেন, আব্দুর রহিম, সত্তারউদ্দিন, রাহিম মিয়া, হোসেন আহমেদ, মামুন আহমেদ, ফারুক মিয়া, সালাউদ্দিন শিপার, গুলজার আহমেদ, রিমন আহমেদ ও আজমল আলী।
দুই বিস্ফোরণে আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।