
চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন জিইসি মোড় এলাকায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেন্ট্রাল প্লাজা ও সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্সের প্রায় দশটি দোকানপাট ভাঙচুর করে লুটপাট চালায় বিবদমান দুই গ্রুপ।
এদিকে দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে ওমরগনি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ জিইসি মোড় এসে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্স এর প্রায় দশটি দোকান ভাংচুর চালায় বিবদমান দুই গ্রুপ।

ছাত্রলীগের ভাঙচুরের প্রতিবাদে সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্স এর ব্যবসায়ীরাসহ স্থানীয় সকল ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে প্রায় এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে করে নগরীর ব্যস্ততম সড়ক জিইসি এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চকবাজার পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্স’র এক ব্যবসায়ী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, জিইসি মোড় এলাকায় প্রতিদিনই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কোন না কোন ঘটনা ঘটে থাকে। তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আর এর খেসারত দিতে হয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের্। কিছু হলেই উভয় গ্রুপ মার্কেটের সামনে দোকান গুলোতে ভাঙচুর চালায়।

সেন্ট্রাল প্লাজার অপর এক ব্যবসায়ি পাঠক ডট নিউজকে জানান, মুলত জিইসি এলাকার ফটপাতের দোকানগুলো নিয়ন্ত্রণ করে এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এসব দোকান থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে তারা। এ নিয়ে সমস্যা হলেই এক গ্রুপ অপর গ্রুপের উপর চড়াও হয়। মাঝে ক্ষতিগ্রস্থ হয় মার্কেটের ব্যবসায়িরা। তাই এবার আমরা পুলিশকে বলেছি ফুটপাতের কোন দোকান যেন না থাকে।
জানতে চাইলে চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হুদা জানান, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় সিসি ক্যমেরা দেখে ভাঙচুরে লিপ্ত থাকা সকলকে গ্রেফতার করা হবে। আমরা এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছি।