জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নুরুল আলম নুরুকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাতে সাদা পোষাকধারীরা তুলে নিয়ে গেছে।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে সাড়ে ১১টায় নগরীর চকবাজার থানার কাতালগঞ্জস্থ বাসা থেকে তাকে হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যায় ৮/১০ সাদা পোষাক ধারী নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
তবে রাউজান থানা পুলিশ তাকে আটকের বিষয়টি অস্বিকার করেছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও ছাত্রদল নেতা নূরুল আলমের ভাগিনা মো. রাশেদ জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ১০ জন লোক আসে, তারা পাঁচজন পুলিশের পোষাক পরা ছিল আর ৫ জন সাধা পোষাকে ছিল। আমার মামার নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে তাকে হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় পরিবারে অন্যন্য সদস্যদের মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
জানাগেছে, ছাত্রদল নেতা নুরুর নামে হত্যা নাশকতারসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাউজান থানায় ৮/১০ মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সদস্য আতাউল্লাহ সম্রাট পাঠক ডট নিউজকে জানান, আমরা খবর নিয়ে জেনেছি রাউজান থানা পুলিশের এএসআই আরমানের নেতৃত্বে সাদাপোষাকে পুলিশ ছাত্রদল নেতা নুরুকে আটক করে নিয়ে গেছেন। তাকে রাউজান থানার নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ তাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করছেন না।
এদিকে রাউজান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ পাঠক ডট নিউজকে জানান, আজ আমরা নগরীতে কোন অভিযান চালাইনি। কাউকে আটকও করিনি।তিনি বলেন, আসলে আমরা জঙ্গি অভিযান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। রাত ১টা পর্যন্ত কাগতিয়া মুনরীয়া মাদ্রাসায় আমরা অভিযানে ছিলাম। প্রয়োজনে আপনি এডিশনাল এসপির কাছে খবর নিতে পারেন। আমরা বা আমাদের কোন পুলিশ ছাত্রদলের কোন নেতাকে আটক করিনি।
ছাত্রদলে নেতা নূরুকে আটকের বিষয়টি অস্বিকার করেন নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাবেদ। তিনি বলেন, আমার এখানে কোন আসামী নেই। যারা বলেছে তাদের এসে খুঁজে দেখতে বলেন। আমরা আজ রাতে কোন অভিযান চালায়নি।
এদিকে কেন্দ্রিয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ছাত্রদল নেতা নূরুল আলম নুরুকে পুলিশ পরিচয়ে রাতেরে আঁধারে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় ঘটনায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবী এবং ২৪ ঘন্টারমধ্যে আদালতে হাজির করার দাবী জানান।