পাকিস্তানের লাহোরে নিজের মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় সে মেয়েকে এই ‘শিক্ষা’ দেয় বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, জিনাত রফিক নামে ওই নারীর গায়ে তেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, পাকিস্তানে রক্ষণশীল আইনের বাইরে গিয়ে বিয়ে করায় নারী নির্যাতনে এক মাসের মধ্যে এটাই তৃতীয় ঘটনা।
পুলিশ জানায়, ১৮ বছর বয়সী জিনাত রফিকের গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে তাকে জীবিত অবস্থায় আগুন দেওয়া হয়েছিল নাকি মারা যাওয়ার পর।
পুলিশ কর্মকর্তা ইবাদাত নিসার বলেন, পুলিশ ওই তরুণীর ভাইকে খুঁজছে। তার মা’কে মরদেহের সঙ্গে পাওয়া গেছে এবং তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ৫০ বছর বয়সী নারী এই ধরনের কাজ করবে এটা বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তিনি নিজে নিজেই (ওই মেয়ের মা) এই কাজটি করেছেন এবং পরিবারের কারও সহায়তা নেননি।’
জিনাতের চিৎকার শুনতে পেলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। কিন্তু ততক্ষণে মারা যায় সে।
জিনাতকে পারিবারিকভাবে নতুন করে বিয়ে দেওয়া হবে বলে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়।
জিনাতের স্বামী হাসান খান বিবিসিকে জানান, এক সপ্তাহ আগে নিজেদের পছন্দে আদালতে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের কথা জিনাত তার বাবা মা’কে জানালে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। একটা সময় তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে।
তিনি বলেন, ‘নতুন করে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার পরিবার তাকে নিয়ে যায়। সে প্রথমে যেতে চায়নি। আমরা বুঝতেই পারিনি তাকে হত্যা করা হবে।’
এর আগে গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে স্কুলশিক্ষিকা মারিয়া সাদাকাতকে গায়ে আগুন দেওয়া হয়। বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় এই কাজ করা হয়। পরবর্তীতে মারিয়া মারা যান।
গত বছরে ১১০০ নারীকে তথাকথিত সম্মানীয় হত্যাকাণ্ডের নামে হত্যা করা হয়।