চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হঠাৎ করেই একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে সদর ইউনিয়ন এলাকায়। গত রবিবার দিবাগত রাত দেড় টায় মান্দারবাড়ীয় গ্রামের (জামালের দোকান) জামাল উল্ল্যাহ হাজী বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ইতিপূর্বে গত ৯ জুন সেহেরীর সময় ইউনিয়নের ঘড়িয়াইশ গ্রামের নূর হোসেনের বাড়িতেও ডাকাতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে এসব ডাকাতির ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে ডাকাতেরা। জামাল উল্ল্যাহ হাজী বাড়িতে ডাকাতিকালে এলাকার তিনজনকে গুলি করেছে ডাকাতদল।
এদিকে মান্দারবাড়িয়া গ্রামে ডাকাতির শিকার পরিবারের কর্তা মোঃ মামুন জানান, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ঘরের তালা ভেঙ্গে ৯/১০ জনের একটি শসস্ত্র ডাকাতদল ঘরে ঢুকে প্রথমে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে ৮ ভরি স্বর্ণ, ৩২ হাজার নগদ টাকা ও এইচটিসি নামের একটি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া ডাকাতিতে বাধা দিলে তাদের উদ্দেশ্য করে ডাকাতেরা গুলি ছুঁড়লে মোহাম্মদ মামুন, জাহাঙ্গীর আলম ফাররুক ও মাদ্রাসা ছাত্র মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।
গত ৯ জুন ঘড়িয়াইশ গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় বাড়ির মালিক হাজ্বী নুর হোসেন জানান, ঘটনার রাতে সেহেরী খেতে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খোলার সাথে সাথে ১৫-২০ জনের একটি মুখোশধারী দল অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই আমি, আমার ছেলে দিদারুল আলমকে তারা রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলে। দিদারুল আলমের কন্যা শিশুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ, নগদ ২০ হাজার টাকা ও ঘরের মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় ডাকাতদল। ডাকাতদল যাওয়ার সময় বিষয়টি পুলিশকে না জানাতে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) কে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি থানায় জানানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
মিরসরাই থানার ডিউটি অফিসার (দায়িত্বরত কর্মকর্তা) উপ-পরির্দশক সরোজ জ্যোতি চাকমা বলেন, ডাকাতি এবং গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।