Search
Close this search box.

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নান্দনিক ডিজাইনের জন্য গ্রাহকদের প্রিয় নাম মুনমুন’স

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

03
মুনমুন’স এর যত ডিজাইন।

নান্দনিক ডিজাইন, আরামদায়ক ফেব্রিকের জন্য গ্রাহকদের প্রিয় নাম-মুনমুন’স। যেখানে ভারত-পাাকিস্তানের কাপড়ে দেশের বাজার সয়লাব, সেখানে এই প্রতিকূল অবস্থায়ও এক শ্রেণীর রুচিশীল গ্রাহকের কাছে সমাদৃত একটি নাম মুনমুন’স।

কাজী শাহতাজ পারভিন মুনমুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শেষে প্রকৌশলী বজলুল হকের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। সবাই আশা করছিলেন চাকুরি করবেন তিনি। কারন তার পিতা কলেজ অধ্যক্ষ কাজী শাহাদাত হোসেন ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতিমনষ্ক গুণীজন। তাঁর মেয়েও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিচরণ করবেন, এটাই স্বাভাবিক ছিল।

02
বাহারি রং এর ডিজাইনে ফ্যাশনে নতুনত্ব এনেছে মুনমুন’স।

কিন্তু ছোট কাল থেকে ভাই বোনদের জন্য কাপড়ের ডিজাইন করতে করতে ফ্যাশন ডিজাইনকে নিজের ধ্যান-জ্ঞানই করে নিয়েছিলেন তিনি। অল্প সময়ে যখন সবাই দেখলো মুনমুন’স একটি ব্র্যান্ড, তখন সবার চোখে-মুখে তৃপ্তির হাসি। মুনমুন’স এর কর্ণধার কাজী শাহতাজ পারভিন মুনমুন এর সাথে আলাপচারিতার কিছু অংশ পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-

পাঠক.নিউজ: সাহিত্যের ক্যারিয়ার ছেড়ে কেন এই পেশায়?

মুনমুন: আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন সর্ব প্রথম কনে সাজাই। সেই কনে ছিল আমার কাজিন। প্রথম কাজেই সবাই অবাক হয়। তারপর বিয়ে, গায়ে হলুদসহ যাবতীয় সামাজিক অনুষ্ঠানে পারিবারিকভাবে আমার কাজের একটা গুরুত্ব তৈরী হয়। প্রাতিষ্ঠানিক পড়া লেখা শেষ করে যখন বিয়ে করলাম তখন ভাবলাম- চাকুরি করলেতো ঘর সংসার করা হবেনা। কারণ আমার প্রকৌশলী স্বামী সরকারী চাকুরীজীবী। তাঁর বিভিন্ন জায়গায় পোষ্টিং হবে। আমার পোষ্টিং যদি তাঁর সাথে না মিলে তখন বাচ্চারা একটা সংকটে পড়বে। তাই পুরোপুরি ফ্যাশন ডিজাইনে মনোযোগী হলাম।

04
মুনমুন’স এর নজর কাড়া তৈরী পোষাক।

পাঠক.নিউজ: কত বছর কাজ করছেন?

মুনমুন: ১৯৯৮ সাল থেকে এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। নারায়নগঞ্জে শো’রুম নিলাম। চট্টগ্রামে ইউনস্কো সিটি সেন্টারে শোরুম ছিল। ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হলে সেটা বন্ধ করে দিই। তবে শীঘ্রই চট্টগ্রামে আবার শোরুম চালু করবো।

পাঠক.নিউজ: এই দীর্ঘ পথ চলায় কোন স্বীকৃতি পেয়েছেন?

মুনমুন: আমি নিভৃতে কাজ করতে পছন্দ করি। কোন প্রতিযোগিতায় ওভাবে অংশ নিই নাই। তবে প্রথম আলো আলোকিত ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতায় যতবারই অংশ গ্রহণ করেছি কোন কোন পুরষ্কার জিতেছি।

পাঠক.নিউজ:বিদেশী কাপড়ের ভীড়ে আপানাদের অবস্থা কী?

মুনমুন: হাতের কাজের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো বিদেশী কাপড়। আগে ছিল শুধু ভারতীয় কাপড়। সাম্প্রতিক সময়ে যোগ হয়েছে পাকিস্তানী রেডিমেইড কাপড়। যা চোরাই পথে আসে বলে দামেও কিছুটা কম হয়। এখনই যদি ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে দেশীয় কাপড়ের ব্যবসায়ীদের জন্য ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

01
মুনমুন’স এর ডিজাইনে তৈরী শাড়ি রমণীদের প্রিয়।

পাঠক.নিউজ: কী ব্যবস্থা চান?

মুনমুন: সরকার যদি কঠোরভাবে চোরাই পথে কাপড় আসা বন্ধ করে তখন শুল্ক দিয়ে এই কাপড় আমাদের দেশে আসবে। সরকারেরও রাজস্ব বাড়বে, আমরাও অশুভ প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা পাবো।

পাঠক.নিউজ: এ ঈদের ডিজাইনে কোন রঙ প্রাধান্য দিয়েছেন?

মুনমুন: আমি সেই ছোটকাল থেকেই রঙ নিয়ে খেলতে পছন্দ করতাম। এখনো রঙের খেলা আমি উপভোগ করি। কোন নির্দিষ্ট রঙে আমি আবদ্ধ নই। সব রঙের সাথে ম্যাচ করে কাজ করি। বলতে পারেন মুনমুন’স-র এটাই অনন্য বৈশিষ্ট্য। তবে এবার মিরর ওয়ার্কের চাহিদা বেশী। আবার পাত্তি ডিজাইনের একটা চাহিদাও আছে। আমার নিজের ফ্রেমে পাত্তি, মিরর, কারচুপির কাজ করছি। কারচুপির কাজটা আমি হাতে করি, সুতো দিয়ে; যেটা একান্ত মুনমুন’স ক্রিয়েশন। হঠাৎ দেখলে মনে হবে এম্ব্রয়ডারী। হ্যান্ড পেইন্ট, স্ক্রিন, ব্লকসহ সব মাধ্যমেই আমি কাজ করি।

পাঠক.নিউজ: নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কোন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন?

মুনমুন: নারী উদ্যোক্তাদের বাঁধাতো থাকবেই। আমার পরিবারকে আমি সব সময় আমার পাশে পেয়েছি। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

পাঠক.নিউজ: আপনার কাপড়ের মূল্য কেমন?

মুনমুন: কাজের তুলনায় কম। গ্রাহকের সাধ-সামর্থ্য চিন্তা করে খুবই কম মার্জিনে দাম নির্ধারণ করি।

পাঠক.নিউজ: ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?

মুনমুন: বুটিক নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক বড়। অনেক দূর যাওয়ার আশা করছি।

পাঠক নিউজ: সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মুনমুন: আপনাকেও ধন্যবাদ এবং পাঠক নিউজের পাঠকদের ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানাই আপনার মাধ্যমে।

সর্বশেষ

ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ চূড়ান্ত পর্যায়েঃ তাজুল ইসলাম

দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা, সদলবলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আড়াই কোটি বিদেশী মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

বেক্সিমকোর সব সম্পত্তি দেখভাল করতে রিসিভার নিয়োগের লিখিত আদেশ

অপরাধী হলেও যেন তাকে আইনের হাতে তুলে দেয়া হয়, ঢাবি-জাবির ঘটনা দুঃখজনকঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিল্পী সংঘের ‘অন্তর্বর্তীকালীন সংস্কার কমিটি’র প্রধান তারিক আনাম

নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহারে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাচ্ছে বিএনপি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print