ফটিকছড়ির উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদীতে নৌকাডুবিতে শিশু ও বৃদ্ধাসহ অন্তত ১০ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুন্দরপুর-সুয়াবিলের নাইচ্ছের ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে সুয়াবিল থেকে নৌকাযোগে প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে সুন্দরপুরের দিকে যাচ্ছিল নৌকাটি। তীরের কাছাকাছি এসে নৌকাটি একটি বাঁশের সঙ্গে ধাক্কালেগে ডুবে যায়। এতে স্রোতের কারণে ভেসে যান অধিকাংশ যাত্রী। দুই পাড়ে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা নদীতে নেমে বেশ কয়েজনকে তীরে নিয়ে আসেন।
সূত্র জানায়, এই নৌঘাটটি জেলা পরিষদের ইজারা দেওয়া একটি ঘাট। শুষ্ক মৌসুমে এখানে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয়। সেই সাকোর একটি বাঁশের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকা চালাচ্ছিল অপ্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে।
খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হক ও সুন্দরপুরের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ চৌধুরী নদীতে ডুবে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধার কাজে যোগ দেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসলাম সওদাগর (৬২), রেজভী (১৬), বাবু (১০), জীবন (১৪), আদনানসহ অন্তত ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হক জানান, নিখোঁজ শিশুসহ ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।