ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

তারেককে লন্ডন থেকে ধরে আনা হবে-আইনমন্ত্রী

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

1469092324
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে ধরে এনে আদালতের রায় কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নিজ দফতরে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

অর্থ পাচারের দায়ে বৃহস্পতিবার তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের জেল ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারেকের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকেও একই সাজা দিয়েছে আদালত।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি (প্রত্যয়িত অনুলিপি) পাওয়ার পর তারেক রহমানকে দেশে এনে এ সাজা যাতে খাটতে পারে সে ব্যবস্থা করার জন্য যেসব প্রক্রিয়া প্রয়োজন সেসব প্রক্রিয়া গ্রহণ করব।’

‘এন্টি করাপশন কমিশনকে আমি অনুরোধ করবো এ রায় কার্যকর করার জন্য তারা যেন ইমিডিয়েটলি এ রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার জন্য দরখাস্ত করে। পাওয়ার পর কপিটি যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে, তখন তাকে বিদেশ থেকে ধরে আনার ব্যবস্থা করা হবে।’

আনিসুল হক বলেন, ‘এতদিন পর্যন্ত কোন মামলায় তারেক রহমানের সাজা ছিল না। আজকের সাজার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে ধরে আনার চেষ্টা করবো।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যতদূর জানি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহিঃসমর্পন (আসামি হস্তান্তর) চুক্তি নেই। কিন্তু ইন্টারপোলের মাধ্যমে আমরা যদি যাই তবে তাকে ধরে আনার সম্ভাবনা আছে। যদি চুক্তি করেও আনতে হয় তবে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করার চেষ্টা করব।’

মামলার অভিযোগে রয়েছে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএ’তে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় অর্থ পাচার বিরোধী আইনে এ বিষয়ে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

এই মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। একইসঙ্গে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

বিচারককে প্রভাবিত তারেক রহমানের খালাসের রায়

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারিক আদালতে তাদের (তারেক রহমান ও মামুন) প্রথমে বিচার করা হয়। তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে শাস্তি দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে পরিস্কার বলা হয়েছে, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন স্বীকার করেছে যে সে টাকাটা নিয়েছে। তারপরও বিচারিক আদালতের বিচারককে প্রভাবিত করে তারেক রহমান তখন নিজেকে খালাস করিয়েছিলেন।’

‘খালাস করানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই বিচারক কিন্তু বাংলাদেশ থেকে চলে যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপিল গ্রহণ করার সময় তারেক রহমানকে বলা হয়েছিল বিচারিক আদালতে যাতে সে আত্মসমর্পণ করে। সেই নোটিশ দেওয়ার পরে সে আত্মসমর্পন করেনি। সেজন্য আপিল শুনানিতে তিনি কোন আইনজীবী দিতে পারেন নি। কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা আদালতে ছিলেন।’

বিচারককে প্রভাবিত করে রায় নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো পরিস্কার বললাম যে জজ সাহেব ছিলেন তিনি সেই রায় দেওয়ার ২ দিন পর পরিবারসহ মালয়েশিয়া পালিয়ে যান। তাকে আসার জন্য অনুরোধ করার পর, চাকরি থেকে নোটিশ দেওয়ার পর তিনি আর কোন দিন ফিরে আসেননি বাংলাদেশে।’

আনিসুল হক বলেন, ‘মামলার রায়ের আগে কোন দিন আমার মুখ দিয়ে এ কথা বেরোয় নাই। আজকে আমি বলছি তার কারণ হচ্ছে। আজকে উচ্চ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে তিনি যে রায় দিয়েছিলেন সেটা ঠিক রায় হয় নাই।’

জাতীয়তাবাদী শক্তি ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবে তারেক রহমানকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে- বিএনপির এ সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী জানান, সব ধরণের নিয়ম মেনে আপিলের পর এ রায় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ সব প্রেক্ষিতে অত্যন্ত পরিস্কার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সেটা ঠিক।’

‘ওনারা (বিএনপি নেতারা) যা বলছেন…এখন আর ডিফেন্ড করার কিছু নেই। সেজন্য এসব বাজে করা বলছেন’ বলেন আনিসুল হক।

লন্ডনে বসে তার আপিল করার কোন সুযোগ নেই

এখনও আপিলের সুযোগ রয়েছে, তারেক রহমান আপিল করতে পারবেন কিনা-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানকে যদি ধৃত করে বাংলাদেশে আনা হয় তাহলে তিনি আপিল করতে পারবেন। তারেক রহমান যদি নিজে এসে সারেন্ডার করে সাজা খাটা শুরু করেন, তাহলেও তিনি আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবেন।’

আনিসুল হক বলেন, ‘তারেক রহমান সাজা খাটার জন্য যদি দেশে আসেন বা আমরা যদি তাকে ধরে আনতে পারি তাহলে তার আপিল করার সুযোগ আছে। তবে লন্ডনে বসে তার আপিল করার কোন সুযোগ নেই।’

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print