ঐতিহ্যের তকমা গায়ে দিয়ে মাঠে নেমে শেষ রক্ষা হলো না মোহামেডানের। পেনাল্টি থেকে গোল করে কোন রকমে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঐতিহ্যবাহী দলটি।
সোমবার চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবলের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বনাম রহমতগঞ্জ এমএফএস’র পয়েন্ট ভাগাভাগির এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এই অবস্থায়ই বিকেলে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বনাম রহমতগঞ্জ এমএফএস’র ম্যাচ। বৃষ্টি¯œাত মাঠে প্রথমার্ধে সাদা কালো জার্সির প্রতি সুবিচার করতে পারেনি মোহামেডান। পুরো প্রথমার্ধ আধিপত্য বিস্তার ছিল রহমতগঞ্জের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে মোহামেডানের ডিফেন্ডার দিদারুল আলমের বক্সের উপর থেকে নেয়া জোরালো শর্ট রহমতগঞ্জের কিপার মাসুম দক্ষতার সাথে বুকে জড়িয়ে নেন। এরপর একটার পর একটা আক্রমণ করতে থাকে রহমতগঞ্জ। আক্রমণে মোহামেডানের ডিফেন্ডিং সাইড ভেঙে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় ১৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে রহমতগঞ্জে মিডফিল্ডার মাহবুব নয়নের সুন্দর লব থেকে বক্সের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থ বিদেশী ফরোয়ার্ড সাইও জোনাপিও দর্শনীয় সাইড ভলিতে মোহামেডান কিপারকে পরাস্ত করে ১-০তে এগিয়ে নেন দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে মোহামেডান। ম্যাচের ৫২ মিনিটে মোহামেডানের অধিনায়ক ইসমাইল বাঙ্গুরা বামপ্রান্ত থেকে বক্সে ঢুকে তিন চারজনকে কাটিয়ে ডান পায়ে নেয়া জোরালো শর্ট কিপার মাসুম কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। ৫৫ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে মোহামেডানের ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সাজিব লব করলে সহযোদ্ধা বিশ^নাথ ঘোষ ফাঁকায় ছোট ডিবক্স থেকে শর্ট নিতে ব্যর্থ হন। যার কারণে সহজ সুযোগ নষ্ট হয় মোহামেডানের। ৬৪ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার মেহবুব হাসান নয়নের আচমকা শর্ট মোহামেডানের কিপার নেহাল দ্বিতীয় গোল হজম থেকে রক্ষা করেন। ৭৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে মোহামেডানের বদলী মিডফিল্ডার আবদুল মালেক থ্রু পাস থেকে সতীর্থ মাসুদ মিয়া জনি শর্ট নিলে ছোট ডি বক্সের জটলার মধ্যে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান রেফারি। ফলে পেনাল্টি থেকে মোহামেডানের অধিনায়ক ইসমাইল বাঙ্গুরা ম্যাচের সমতা ফেরান (১-১)। এব্যাপারে ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জের কোচ কামাল আহমেদ বাবু পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন রেফারির দিকে। তিনি সাংবাদিকদেরকে ওই মুহূর্তের খেলাটি ভিডিও দেখার দাবি তুলেন।
তবে রহমতগঞ্জের কোচের মতে,‘রেফারি বদৌলতের’কারণে কোন রকমে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।