গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে। আজ পৃথিবীর অনেক দেশেই জঙ্গিবাদী গণহত্যা ও নাশকতা ঘটনা ঘটছে। এই প্রথম গুলশান ট্রেজেডিতে একসঙ্গে ৬ জন জঙ্গিকে হত্যা করে সারাবিশ্বের বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের নিমতলা বিশ্বরোড সংলগ্ন বিমান চত্বরে ১৪ দলের উদ্যোগে জঙ্গিবাদ বিরোধী পদযাত্রা পূর্বক এক সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
গণপূর্ত মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা ২১ শে আগষ্ট শেখ হাসিনার হত্যা প্রচেষ্টায় বোমা হামলার সাথে সরাসরি জড়িত এবং বিভিন্ন সময় জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও ইন্দন যুগিয়েছে তাদের সাথে জঙ্গিবাদ দমনে কোনো ঐক্য হতে পারে না। তিনি জঙ্গিবাদ বিরোধী সাম্প্রতিক অভিযানে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, তিনি সেনা-নৌ-পুলিশ-র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার সাহসী ভূমিকার জন্য তাদের প্রতি জাতির পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি চট্টগ্রামের জনগণকে চট্টগ্রাম ১৪ দলের সমন্বয়ক এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী’র নেতৃত্বে প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
তার বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের সরিক দল, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মী এবং এলাকার পরিচ্ছন্ন লোকজনকে নিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে জনগণের জানমালের পাহারা নিশ্চিত করুন।
মহিউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের এজেন্টরা ঢুকে পড়েছে। এরা জাতীয় নিরাপত্তাকে নানাভাবে বিঘিœত করছে। তারা বন্দরের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীদের বঞ্চিত করে জঙ্গিবাদী গ্রুপগুলোকে অর্থের যোগান দিচ্ছে। এদেরকে আমরা ছিনি। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে বন্দরের সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীর স্বার্থ রক্ষা করতে হবে এবং বন্দর ধ্বংসের সাথে জড়িত মহলকে কোনো ধরনের প্রশ্রয় দেবেন না।
তিনি চট্টগ্রামের যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত আছেন তাদের অনেকেই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সাথে যোগসাজশ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি তাদেরকে সে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অবিলম্বে অপসারণ করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম, ১৪ দলের নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল, শামসুদ্দিন খালেদ সেলিম, তাজের মুল্লুক, অমূল্য বড়–য়া, আজাদ দোভাষ, বানু রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: শেখ শফিউল আজম, মো: জসিম উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, আবদুল আহাদ, হাজী জহুর আহমদ, মিটুল দাশ গুপ্ত, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল আলম, সৈয়দ আমিনুল হক, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, অমল মিত্র, থানা আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি স্পেশাল, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মন্নান, মো: হাসান মুরাদ, হাজী মোহাম্মদ হাসান, সুলতান আহমদ, সাইফুল আলম চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন আজাদ প্রমুখ।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। সভাশেষে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে পদযাত্রা বিমান চত্বর থেকে কাস্টম ভবন হয়ে পুনরায় সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়।
আগামীকাল শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম ১৪ দলের উদ্যোগে চকবাজার গুলজার টাওয়ারের সম্মুখে সমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।