জমি সংক্রান্ত বিরোধ জের ধরে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা এলাকায় নুর নাহার বেগম (৪০) নামের এক মহিলা অপহরনের প্রায় ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নয় নারী-পুরুষকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গার মাইজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে পুলিশের দাবি অপহরণ নয়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা জায়গার দখল নিয়ে সন্ধ্যায় মারামারি করেছে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
উদ্ধার হওয়া নুর নাহার বেগমের বাড়ি নগরীর পতেঙ্গা থানার উত্তর মাইজপাড়া আইয়ুব আলী সারাংয়ের বাড়ি মৃত শফিকুর রহমানের মেয়ে।
আটক নারী ও পুরুষদের মধ্যে রয়েছে, কামাল উদ্দিন, নাজমুন নাহার, কামরুন নাহার, খাইরুন নাহার ও নামমুন নাহারের স্বামী। আটকরা সবাই নগরীর পতেঙ্গা থানার উত্তর মাইছপাড়া আইয়ুব আলী সারাং এর বাড়ির বাসিন্দা। পুলিশ পরে অভিযোগকারী নুর নাহার বেগমসহ তার পরিবারের চার সদস্যকে আটক করে। বাকি সদস্যরা হলেন, নুর নাহার বেগমের ভাই আবু বকর, নুর নাহার বেগমের দু‘সন্তান নুর উদ্দিন (২১) ও টুম্পা (১৮)।
অপহৃত নুর নাহার বেগমের ভাই আবু তাহের জানান, নুর নাহার বেগমের পৈত্রিক ভিটেমাটি কেড়ে নিতে দীর্ঘ দিন থেকে প্রষ্টো চারিয়ে আসছে স্থানীয় একটি মহল। এই নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। বেশ কয়েকবার দলবলে লোক নিয়ে জায়গাটি দখল করতে এসে ব্যার্থ হয়ে নুর নাহার বেগমের পরিবারের সদস্যদের বেধম মারধর করেছে তারা। প্রতিটি ঘটনার পর নুর নাহার বেগম আইনগত সাহায্য চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগগুলো সাধারণ ডাইরী হিসেবে রেকর্ড করেই চুপসে গেছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে দলবলে লোকজন নিয়ে ওই জায়গাটি দকল করতে আসে স্থানীয় কামাল উদ্দিনসহ বেশ কিছু লোক। এ সময় নুর নাহার বেগম সরাসরি থানায় গিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর থানা থেকে বাড়ি ফেরার সময় পতেঙ্গা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে নুর নাহার বেগমকে তুলে নিয়ে নিজের বাড়তে বেধেঁ রাখে কামালসহ তার পরিবারের সদস্যরা। পরে বিষয়টি থানায় জানানোর পর পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কামাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে নুর নাহার বেগমকে উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে এই ঘটনায় আটক করেন কামাল উদ্দিনসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। পরে তাদের ছাড়াতে থানায় গেলে কামাল উদ্দিনের পরিবারের আরও চার সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
এই বিষয়ে পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা একটি জায়গা দখল করতে গিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ওই সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ উভয়পক্ষের নয়জনকে আটক করেছে।