ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

র‌্যাংগসের গুদামে নিষিদ্ধ জাটকা

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: র‌্যাংগস গ্রুপের কর্ণধার আব্দুর রউফ চৌধুরীর মালিকানাধীন সী রিসোর্স লিমিটেড নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কোল্ড স্টোরেজে বিপুল পরিমাণ জাটকা পাওয়া গেছে। ইলিশ রক্ষায় জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ হলেও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সী রিসোর্সের ফিশিং ট্রলার এবং জাহাজগুলো সাগর থেকে অবাধে জাটকা নিধন করে গুদামজাত করেছিল।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মনসুরের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি টিম নগরীর কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্ম্যা এলাকায় সি রিসোর্সের ওই গুদামে অভিযান চালিয়ে বিপুল জাটকার সন্ধান পায়। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে গুদামটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গুদামে থাকা জাটকাগুলো স্থানীয় কর্ণফুলী থানার তত্তাবধানে রাখা হয়েছে।

রোববার (১ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওই গুদামে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মনসুরের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এসময় সী রিসোর্স লিমিটেডের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মচারি ছিলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মনসুরের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি টিম। নিরাপত্তারক্ষীদের গুদাম খুলে দেয়ার নির্দেশ দিলে তারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেটা খুলতে পারবেন না বলে জানান। বারবার বিভিন্ন কথাবার্তা বলে সময়ক্ষেপণের এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার জন্য তাদের এক ঘণ্টা সময় দেন। অন্যথায় তালা ভেঙে গুদামের ভেতরে অভিযান চালানো হবে বলে জানান। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে একজন কর্মচারি এসে গুদাম খুলে দেন।

গুদামের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, আট সারিতে সাজানো মাছের ছোট ছোট বস্তার মধ্যে সবই সামুদ্রিক মাছ। বিভিন্ন ধরনের মাছ থাকলেও সেখানে দেখা যাচ্ছিল না। পরে র‌্যাবের কয়েকজন সদস্য সামনের সারিতে রাখা বস্তাগুলো সরানোর পর বেরিয়ে আসে জাটকার বস্তাগুলো। তবে জাটকার মতো দেখতে চামিলা মাছ নামে সামুদ্রিক এক ধরনের মাছের সঙ্গে মিশিয়ে বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে জাটকাগুলো, যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়। পরে সেখান থেকে দশটি বস্তা বাইরে এনে পরীক্ষা করে জাটকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়।

গুদামের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, প্রতিটি ছোট বস্তায় জাটকা ও চামিলা মিলিয়ে ২২ কেজি করে মাছ আছে। প্রতিটি জাটকার ‍সাইজ দশ ইঞ্চির নিচে।

কোল্ড স্টোরেজের কার্যালয় থেকে সী রিসোর্স লিমিটেডের দুটি নথিও উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে ইলিশ বেবি নামে জাটকা সংরক্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, জাটকা প্রতিরোধে আমরা প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছি। বিপণণ সহজ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন জাটকা গুদামজাত করে রাখছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে সেগুলো বিক্রি করবে। সী রিসোর্স লিমিটেডের গুদামে এখন পর্যন্ত আমরা দেড় টন জাটকা পেয়েছি। আরও জাটকা আছে। তবে আপাতত আমরা গুদামটি সিলগালা করে জাটকাগুলো কর্ণফুলী থানা পুলিশের জিম্মায় দিয়ে যাচ্ছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print