চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিন। জঙ্গি দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। কোন জঙ্গি আটক হলে তাকে মুক্ত করতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাবেন না| ইতোমধ্যে গ্রেফতার অনেক জঙ্গির মুক্তিতে রাজনৈতিকভাবে সুপারিশের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠনে নগরীর ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ওড়ানো এবং জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না তার তালিকা দিতে অনুরোধ করে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা বাংলাদেশ স্টাডিজ নামের একটি স্কুলের সন্ধান পেয়েছি। যে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে কোথাও ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি নেই। যেখানে জাতির জনকের নাম উল্লেখ করতে হয়েছে সেখানে শুধু ‘শেখ মুজিব’ লেখা হয়েছে। এছাড়া সব জায়গায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। তাই এরকম কোনো বিষয়ে এবং অ্যাসেম্বলি করে না সেরকম কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সভায় এই ১০টি ওয়ার্ডকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির তালিকা জমা দিতে বলা হয়। কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে ৪১ থেকে ১০১ সদস্যের মধ্যে এই কমিটি গঠন করা হবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু) ও জোবাইরা নার্গিস খান, পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ, বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন, চান্দগাঁও থানার ওসি সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান ও পাহাড়তলী থানার ওসি রনজিৎ বড়ুয়া, কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান, মো. সাইফুদ্দিন খালেদ, আবিদা আজাদ প্রমুখ ।