
চট্টগ্রামে পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের ফাইল ছাড়ার জন্য ২০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে হাতে নাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের (বিটিসিএল) তিন কর্মকর্তা। উদ্ধার করা হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা, ৮০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র ও জমির দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে নগরীর নন্দনকাননস্থ বিটিসিএল কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ অভিযান চালায়। এসময় ঘুষের ২০ হাজার টাকা সহ গ্রেফতার হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন- বিটিসিএল’র বিভাগীয় প্রকৌশলী ফোন্স (আভ্যন্তরীণ) প্রদীপ দাশ, বিটিসিএল প্রধান সহকারী গিয়াস উদ্দিন ও টেলিফোন অপারেটর হুমায়ুন কবির।
বিষয়টি স্বীকার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক মানিকলাল দাস জানান, বিটিসিএল’র উপ সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম ভুঁইয়া চলতি বছর জানুয়ারীতে অবসরে চলে যান। এর পর থেকে গত ৭ মাস যাবত তিনি তার পেনশন এবং প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকার জন্য ফাইল তৈরী এবং ফাইলটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে বার বার ধর্ণা দিয়ে আসছিলেন নন্দনকানন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। কিন্তু এর জন্য প্রথমে ৫০ হাজার এবং পরে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন বিটিসিএল প্রধান সহকারী গিয়াস উদ্দিন।
পরে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ভুঁইয়া বিষয়টি আমাদের জানান অভিযোগ আকারে। আমাদের পরামর্শে তিনি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে রাজি হয়। আজ ঘুষের টাকা লেনদেন করার সময় তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার এবং বিটিসিএল’র বিভাগীয় প্রকৌশলী ফোন্স (আভ্যন্তরীণ) প্রদীপ দাশের ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা ও দুটি জমির দলিল, গিয়াস উদ্দিনের অফিসে তল্লাশি করে তার স্ত্রীর নামে করা ৮৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও নগদ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাব্বির রহমান সানি। সহযোগিতা করেন কোতোয়ালী থানা পুলিশ।