চট্টগ্রামের রাউজানে আবুল হাসেম (৪২) নামে এক যুবদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার দুপুরে মর্গে রেখে গেছে।
পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে এটিকে হত্যা দাবী করা হলেও রাউজান পুলিশ বলছে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণ পিটুনীতে মারাগেছে আবুল হাসেম। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অস্ত্রও উদ্ধার করেছে।
নিহত আবুল হাসেম রাউজান পৌরসভা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক। তিনি বিগত পৌর সভা নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন।
নিহত আবুল হাসেমের স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, রাজনৈতিক কারণে রাউজানে থাকতে না পেরে স্বপরিবারে আমরা চট্টগ্রাম শহরেই থাকি। বৃহস্পতিবার রাতে আমার স্বামী রাউজানের হলুদিয়া এলাকার আমার বাবার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে। পরে লাশ ফেলে যায়।
তিনি জানান, তার স্বামী বিএনপির সাথে জড়িত এবং বালুর ব্যবসা করতো। পুলিশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের রক্ষার জন্য ডাকাতি এবং গণপিটুনি কথা বলছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ পাঠক ডট নিউজকে জানান, গতকাল রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আবুল হাসেম নামে একজন গণপিটুনীতে মারা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি কিরিচ, একটি বন্দুক, এক রাউণ্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, যুবদল করে কিনা জানি না। তবে একই ঘটনার অভিযোগে ২০১৪ সাথে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলায় চার্জশীর্ট দেয়া হয়েছে। এ মামলা এখনও বিচারধীন রয়েছে।
আমরা তার লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্ডেমের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় অস্ত্র অাইন এবং ডাকাতি এবং হত্যার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে উত্তর জেলা বিএনপি নেতা ও রাউজান পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন জানান, যুবদল নেতা আবুল হাসেমকে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করেছে।
তারা হাসেমের খুনিদের গ্রেফতারের দাবী জানান।