রোজায় রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর গেটে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে চিনি বিক্রয় করবে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থা।
রাজধানীর ১৬টি স্থানে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ট্রাকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৫ টাকা ও মিলগেটে খোলা চিনি বিক্রি হবে ৫০ টাকায়।
শনিবার রাজধানীর দিলকুশায় চিনিশিল্প ভবনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, রোজায় পর্যাপ্ত চিনি মজুত রয়েছে।দেশের কোথাও চিনির ঘাটতি হবে না। রমজানে সবার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি পৌঁছে দিতে ট্রাকের মাধ্যমে চিনি বিক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি পর্যায়ে ১৭ লাখ ৬ হাজার ৬৭৯ মেট্রিক টন ‘র’ সুগার আমদানি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রমজান মাসে চিনির সম্ভাব্য চাহিদা প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কাছে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি চিনি মজুত আছে।
তিনি আরো বলেন, চিনির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এর পরও কারসাজি করে এর মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রমজান মাসে খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রমজান মাসে ঢাকা মহানগরীতে বিএসটিআইয়ের নিজস্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসন যৌথভাবে ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।