ছাত্রলীগের প্রতিরোধ ঘোষণার পরও চট্টগ্রামে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ২টায় শত শত জামায়াত শিবির নেতা কর্মীরা নগরীর পুরাতন রেলষ্টেশন এলাকায় মীর কাসেম আলীর গায়েবানা জানাজা আদায় করেন। জানাজায় অন্তত ৪ থেকে ৫ শ নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চট্টগ্রাম কলেজ সংলগ্ন প্যারেড় ময়দানে মীর কাসেম আলী’র জানাজা প্রতিরোধের ঘোষণা ছাত্রলীগ। এ কারণে সেখানে তার জানাজার আয়োজন না করে পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় তাৎক্ষনিক জানাজার আয়োজন করে জামায়াত শিবির। এখানে সংর্ঘষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, নগর উত্তর শিবির সভাপতি সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, দক্ষিণ সভাপতি আবু জাফর প্রমুখ।
উল্লেখ্য শনিবার রাতে ৭১’র মানবতা বিরোধী অপরাধে চট্টগ্রামে বদর বাহিনীর প্রধান, জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী প্যারেড মাঠে তার জানাজা প্রতিহিত করার ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ।
এক বিবৃতিতে ছাত্রলীগ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে কেউ কুখ্যাত এ রাজাকারের গায়েবানা জানাজা পড়তে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে।
চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম বলেন, এই কলেজ থেকেই উদ্ভব হয়েছিল কুখ্যাত রাজাকার মীর কাসেম আলীর। আমরা আমাদের কলেজকে আর কলুষিত হতে দেব না। মীর কাসেমের কোনো গায়েবানা জানাজা প্যারেড মাঠে হতে দেব না আমরা। কেউ যদি এই কুখ্যাত এই রাজাকারের গায়েবানা জানাজা প্যারেড মাঠে আয়োজন করতে চায় তাহলে আমারা তাদের প্রতিহত করবো।
ইতোপূর্বে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সক জামায়াত নেতাদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ সংলগ্ন প্যারেড ময়দানে।
এর আগে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর জন্য গায়েবানা জানাজা পড়াকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১১ মে ছাত্রলীগ ও পুলিশ এবং জামায়াত শিবিরের মধ্যে ত্রিমুখি সংঘর্ষে হয়েছিল। এদিন শিবিরের প্রতিরোধে পিছু হটেছিল ছাত্রলীগ।