ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, এখন থেকে গ্রামীণ ফোনের সহায়তায় ট্রেকিং যন্ত্র দিয়ে শিক্ষকদের যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষকেরা আর ক্লাস ফাঁকি দিতে পারবেন না। উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে বসে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। যারা বিদ্যালয়ে যথাসময়ে উপস্থিত থাকবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আধুনিক শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
রবিবার জেলার ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের জহুরুল হক মিলনায়তনে আয়োজিত গ্রামীণফোন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরোত্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা প্রশাসন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম তৌহিদুল আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সার্কেল কর্মকর্তা মো. শাওন আজাদ, গ্রামীণ ফোনের মার্কেটিং কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান।
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় এ কার্যক্রম চালু করবে। ফটিকছড়ির ২২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ১০০ শিক্ষকের হাতে ইতিমধ্যে সিমকার্ড পৌঁছে গেছে। এখন থেকে এ ট্রেকিং সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।
চুক্তিপত্রে সই করেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম এবং গ্রামীণ ফোনের পক্ষে সার্কেল কর্মকর্তা মো. শাওন আজাদ।
মো. শাওন আজাদ বলেন, ‘গ্রামীন ফোনের মাধ্যমে এ সেবা দিতে গিয়ে শিক্ষকদের সহযোগী হতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত।