মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাসের মিরসরাইয়ে পুলিশি বাধার মুখে মিছিল করতে পারেনি উপজেলা বিএনপি। উপজেলা বিএনপির কার্যালয় রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে যায়।
এরআগে উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপির উপজেলা কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, মিরসরাই পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন কর্তৃক বিএনপির উপজেলা কার্যালয় ভাঙ্গার ঘটনাটি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারদল আওয়ামীলীগের দমন-নিপীড়নেরই একটি চিত্র। ইতিপূর্বে বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা বিএনপি আহবায়ক নুরুল আমিন।
বর্তমানে মামলাটি চট্টগ্রাম আদালতে বিচারাধীন আছে। লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, কার্যালয়টি ভাঙ্গার বিপরীতে পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হলেও উপজেলা বিএনপি কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি।
বিএনপির মতো একটি বৃহৎ জাতীয়দলের উপজেলা কার্যালয় রাতের আঁধারে বুলডোজার দিয়ে ভাঙার ঘটনাটি নেক্কারজনক। মিরসরাই উপজেলা কার্যালয় ভাঙ্গাও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ষড়যন্ত্রের অংশ। বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ) নুরুল আমিন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির (একাংশের) আহবায়ক এম আলা উদ্দিন, যুগ্ন আহবায়ক গাজী নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলমগীর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুছা মিয়া, বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মফিজ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শাহিনুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিবাগত রাতে মিরসরাই পৌর কর্তৃপক্ষ জায়গা খালি করতে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়টি উচ্ছেদ করে।