প্রবল বর্ষণ আর সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটি পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু পানিতে তলিয়ে গেছে। পর্যটকদের চলাচল নিরাপদ রাখতে এবং ঝুলন্ত সেতুর ঝুঁকি এড়াতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ রবিবার বিকেল থেকে ঝুলন্ত সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে। ১৯৮৪ সালে পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের বিনোদনের জন্য দুই পাহাড়ের মাঝখানে আকর্ষণীয় এই ঝুলন্ত সেতু তৈরি করে।
গত কয়েক দিনে টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিকভাবে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। ফলে রাঙামাটির পর্যটন ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন প্রায় এক ফুট পানির নিচে ডুবে যায়। পর্যটন কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের চলাচল নিরাপদ রাখতে এবং ঝুলন্ত সেতুর ঝুঁকি এড়াতে রবিবার বিকেল ৪টা থেকে ঝুলন্ত সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
রাঙামাটি সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুতে পানি ওঠায় পর্যটকদের চলাচল নিরাপদ রাখতে এবং ঝুলন্ত সেতুর ঝুঁকি এড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ফলে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুতে উঠতে না পেরে হতাশ হয়েছেন। কারণ এ ঝুলন্ত সেতুর পূর্বের দিকে তাকালে দেখা মেলে কাপ্তাই হ্রদের অপূর্ব স্বচ্ছ জলরাশিসহ ছোট-বড় বিস্তীর্ণ নৈসর্গিক সবুজ পাহাড়।
এদিকে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের বর্তমানে পানির উচ্চতা রয়েছে ১০৫ দশমিক ২৭ এমএসএল (মেইন সি লেভেল)। সে অনুযায়ী হ্রদের পানির উচ্চতা থাকার কথা ছিল ১০২ দশমিক ১১ এমএসএল। বর্তমানে রুলকার্ভ থেকে পানি বেশি থাকায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ৪টি ইউনিট থেকে ১৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।