Search
Close this search box.

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মসজিদ দানবাক্সে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

109675 taka মসজিদ দানবাক্সে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা!
.

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (১৩ই জুলাই) বিকেলে গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়।

বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এর আগে গত ১৩ই এপ্রিল দান সিন্দুক খোলার পর এক কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ২শ’ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। গত ১৯শে জানুয়ারি পাওয়া যায় এক কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৩ টাকা। এছাড়া গত বছরের ১৩ই অক্টোবর দান সিন্দুক খোলার পর এক কোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। অর্থাৎ গত এক বছরে পাগলা মসজিদে দান হিসেবে চার কোটি ৫০ লাখ ১৩ হাজার ৮০৮ টাকা পাওয়া গেছে। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে সোয়া লাখ টাকা মসজিদটিতে মানুষ দান করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার (১৩ই জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় মসজিদ মাদরাসার ৬০জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন এর তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনোয়ার হোসেন ও মীর মো. আল কামাহ তমাল টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, কমিটির সদস্য প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আনম নৌশাদ খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ ও সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু টাকা গণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। টাকা গণনার এই এলাহীকাণ্ড নিজ চোখে দেখতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মসজিদে ছুটে যান।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দান সিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। সেজন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে দান করে থাকেন।

জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদটির অবস্থান। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।

টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এছাড়া ইউরো, ইউএস ডলার, সৌদি রিয়াল, কুয়েতি দিনার ও ভারতীয় রুপি এবং স্বর্ণালঙ্কার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে জমা পড়েছে।

সর্বশেষ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে বিলাসবহুল ৩৬০টি বাড়ির মালিক!

১০৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী সরকার

রাহুল গান্ধীকে প্রাণনাশের হুমকি

একটাই লক্ষ্য, প্রতিটি ম্যাচ জিতবোঃ শান্ত

ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েলিদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব

মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবেঃ উপদেষ্টা নাহিদ

পিআইবির নতুন মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print