ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আড়াই লাখ টাকা হলেই মিমমার মুখে হাসি ফুটবে

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

14368812_1291158574250073_8511416047096707899_n
হাসপাতালে কিশোরী মিমমার।

মাত্র আড়াই লাখ টাকা হলেই সুন্দর ফুটফুটে মিমমার মুখে হাসি ফুটবে। তা না হলে তার বাম পা খাটোই থেকে যাবে। বাবার কাছে টাকা নেই জেনে আর বুঝি সুস্থ হওয়া হবে না এই ভেবে হাসিমাখা মুখটাতে অন্ধকার নেমে এসেছে মিমমার।

এদিকে ডাক্তার বলেছেন যতদ্রুত সম্ভব কাউন্টারে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা করতে। তাহলেই অপারেশন করা সম্ভব। বাড়ি থেকে যে টাকা এনেছিলেন ইতোমধ্যে সেই টাকা শেষ হয়ে গেছে। এখন মেয়ের জন্য ওষুধ পর্যন্ত কিনতে পারছেন না তিনি। হাসপাতাল থেকে মেয়েকে যে খাবার দেয়া সে খাবার খেয়েই বর্তমানে দিন পার হচ্ছে বাবা মেয়ের। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রাম থেকে মেয়ে মিমমাহর (১৬) চিকিৎসা করাতে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে আসেন মো: আব্দুল গফুর।

মিমমাহ বর্তমানে হাসপাতালের ৪র্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডের ১২নং বেডে ভর্তি আছেন। সেখানে ডাক্তার ওয়াহিদুর রহমান ও ডাক্তার দীপুর তত্বাবধানে রয়েছে মেয়েটি। আব্দুল গফুর এলাকার একটি মসজিদে ইমামতি করেন। এলাকার মানুষের কাছে শুনেছেন পঙ্গু হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে গেলেই ঠিক হয়ে যাবে। তাদের সেই কথা শুনেই তিনি মেয়ে মিমমাকে নিয়ে ছুটে এসেছেন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। মিমমার ছোটবেলায় জ্বর হয়। এ সময় তার খিঁচুনি হয় এরপর থেকেই তার বাম পাটি খাটো হয়ে যায়। গত ২১ সেপ্টেম্বর মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। সেখানে তার পায়ের মধ্যে রড ঢুকানো হয় (ট্রাকশন)।

এখন অপারেশন করতে আজকালের মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা কাউন্টারে জমা দিতে হবে। এছাড়াও পরবর্তী খরচ আছে আরো এক লাখ টাকা। বিশাল অঙ্কের এই টাকার কথা শুনেই হতভম্ভ হয়ে পড়েছেন বাবা আব্দুল গফুর। যে মানুষটির সংসার চলা দায় তার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা পাহাড় সমান কষ্টকর ব্যাপার। কার কাছে চাইবেন এত টাকা? সেদিন এত টাকার কথা শুনে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

হাসপাতাল থেকে বের হবেন এমন সময় আশপাশের লোকজন আশ্বাস দেন কোথাও কোথাও একটা উপায় বের হবে, আপনারা থাকেন। উনাকে আশ্বাস দেয়া হয় আল্লাহর এই দুনিয়ায় অসংখ্য ভালো মানুষ আছেন, কেউ না কেউ অবশ্যই ছুটে আসবেন সহযোগিতার হাত বাড়াতে। সেই আশায় সেই হৃদয়বান মানুষটির জন্য প্রহর গুণছেন বাবা মেয়ে। মিমমা জানায়, এক পা খাটো হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ কটূক্তি করে। বান্ধবীরা খেলাধূলা করে আর আমাকে বসে থাকতে হয়। খুব কষ্ট হয় তখন। আব্দুল গফুর জানান, ইমামতি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। মেয়ের চিকিৎসা করাতে এত টাকা লাগবে ভাবতেও পারিনি। আল্লাহর দুনিয়ায় অসংখ্য ভালো মানুষ আছেন। সেই মানুষটির অপেক্ষায় আছি। তা না হলে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে যেতে হবে।

মিমমাকে সহযোগিতা পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায় : আইবুল আলম, সোনালী ব্যাংক, কামারখন্দ শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩৪০-৭৭-৬১৯। এছাড়া হাসপাতালে গিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print