বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ১১০ পূজা মন্ডপের জিআর এর বরাদ্দকৃত চাউলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে পূজা মন্ডপের প্রতিনিধার। এতে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পূজা মন্ডপগুলোতে।
তাদের দাবি সরকারের বরাদ্দকৃত চাউল বিক্রি করে তার কিছু অংশ পূজা মন্ডপগুলোতে বণ্টন করা হলেও এর একটি অংশ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বোয়ালখালী উপজেলার ১১০ পূজা মন্ডপের জন্য ৫০টন ৮শত কেজি চাউল বরাদ্দ আসে। সে চাউল ২৯টাকা কেজি দরে বিক্রি করে বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদ। এতে মোট মূল্য পায় ১৪লাখ ৭৩হাজার ২শত টাকা।
শনিবার ১৩ হাজার টাকা করে ৮২টি সার্বজনীন পূজা মন্ডপে দেয়া হয় ১০ লাখ ৬৬হাজার টাকা। ৬ হাজার টাকা করে ২৮টি ব্যক্তিগত পূজা মন্ডপে দেয়া হয় ১লাখ ৬৮হাজার টাকা। সর্বমোট ১২ লাখ ৩৪হাজার টাকা। বাকি টাকা ২লাখ ৩৯হাজার ২শত টাকার হিসাব নেই বলে জানায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপের নেতারা।
বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজিত বিশ্বাসের বরাত দিয়ে সাধারণ সম্পাদক লিটন শীল এ ব্যাপারে বলেন, উপজেলা পূজা উদযাপনের খরচ শেষে বাকি টাকার হিসাব সভার মাধ্যমে জানানো হবে। এতে টাকা আত্মাসাতের সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে ৮ অক্টোবর শনিবার সকাল ১১টায় বোয়ালখালী উপজেলা মিলনায়তনে ১১০টি পূজা মন্ডপে ভোগ্যপণ্য বিতরণ করেন সাংসদ মাঈন উদ্দিন খান বাদল।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পূজা মন্ডপগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ভোগ্যপণ্যের অর্থ ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৩শত শাড়ী বিতরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ। বিধাতাকে বিশ্বাস করে পথ চললে বিশ্বের মডেল হবে এ দেশ।