ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বসত ভিটা ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ে উপকূলবাসী

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

1438278664বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ দ্রুত বেগে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। শনিবার এটি যে কোন সময় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এ কারণে পূর্বে জারি করা এলার্ট-টু নামিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বিকেল থেকে এলার্ট-থ্রি জারি করেছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ ক্রমেই উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর উপকূলবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা থেকে ৭৭৫ কি: মি: ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে ৯০০ থেকে ১০০০ কি: মি: দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পূর্ব দিকে থেকে অগ্রসর হয়ে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে।

বাতাসের গতিবেগ অপরিবর্তিত থাকলে আগামীকাল দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল বরিশাল ও চট্টগ্রাম অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৪ মিটারের বেশি জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

‘রোয়ানু’ মোকাবেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। ঘূর্ণিঝড়টি বাঁশখালী-আনোয়ারা উপকূল দিয়ে আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে। তাই সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। দুপুর দুইটা থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া বাঁশখালী-আনোয়ারার উপকূলীয় এলাকায় থাকা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। এই দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন।

এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে জানিয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে দায়িত্বরত মাহমুদুল ইসলাম বলেন, রোয়ানু চট্টগ্রামের দিকেই বেশি ঝুঁকে রয়েছে। তাই চট্টগ্রামে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরনের পণ্য ওঠানামা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের সব ধরনের যন্ত্রপাতি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।

সকল লাইটারেজ জাহাজকে বন্দর ছেড়ে আউটারে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম জানান, বন্দরের জরুরি সভায় ঘূর্ণিঝড় “রোয়ানু” মোকাবেলা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থানরত সকল লাইটারেজ জাহাজকে বাংলাবাজার জেটির নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দরে অবস্থানরত সকল পণ্যবাহী জাহাজকে ২ ঘণ্টার নোটিশে বঙ্গোপসাগরের বর্হিনোঙ্গরে নোঙ্গর করতে বলা হয়েছে। সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় বন্দরে এলার্ট-২ এর পরিবর্তে এলার্ট-৩ জারি করা হয়েছে।’

এদিকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আরো কিছুটা উত্তর পূর্বে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দু’দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। শুক্রবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে নগরবাসী কিছুটা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

এদিকে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা আনোয়ারা, বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড এবং পতেঙ্গা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার খবরে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকার লোকজনকে সরে যেতে বিকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। অনেকে জীবন বাঁচাতে বসত ভিটা ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন সম্ভাব্য এলাকার লোকজনকে রাতের মধ্যে সরিয়ে নেয়া হবে।

ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পর্যায়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি সকল উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। চট্টগ্রাম জেলা কন্ট্রোলরুমের নম্বর হচ্ছে ৬১১৫৪৫।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print