
বাংলাদেশ থেকে ১৪ টি খাতে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০০ বিশেষায়িত দক্ষ কর্মী নিবে জাপান। আর এই কর্মীদের খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জাপানের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দেশটির জাতীয় পরিকল্পনা এজেন্সির মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সহযোগিতা স্মারক অনুযায়ী, একজন কর্মীর মাসিক বেতন হবে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জাপান যে দু’টি ক্যাটাগরিতে ১৪টি সেবা খাতে জনশক্তি নিয়োগ দিবেন তা নিন্মরূপ ঃ
১। নার্সিং কেয়ার, ২। রেস্টুরেন্ট, ৩। কন্সট্রাকশন, ৪। বিল্ডিং ক্লিনিং, ৫। কৃষি, ৬। খাবার ও পানীয়, ৭। সেবা খাত, ৮। ম্যাটারিয়ালস প্রসেসিং, ৯। ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি, ১০। ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, ১১। জাহাজ নির্মান শিল্প, ১২। মৎস্য শিল্প, ১৩। অটোমোটিভ যন্ত্রাংশ তৈরি শিল্প এবং ১৪। এয়াপোর্ট গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং এন্ড এয়ারক্রাফট মেইনটেইনেন্স (এভিয়েশন)
ভিডিও-
https://www.youtube.com/watch?v=k7TbZ237hzI
প্রথম ক্যাটাগরিতে জাপানী ভাষা পরীক্ষায় ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকলে পরিবার ছাড়া জাপানে পাঁচ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাবেন। আর দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে যাদের জাপানী ভাষা ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা প্রথম ক্যাটাগরির কর্মী থেকে বেশী থাকে, তারা পরিবারসহ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।
ভিসা ক্যাটাগরি – ১
জাপান সরকারের স্পেসিফায়েড স্কিল ভিসা ক্যাটাগরি – ১ অনুযায়ী ১৪ টি খাতের কর্মীরা ৫ বছরের জন্য ভিসা পাবেন। আবেদনকারীকে এই ক্যাটাগরির ভিসার জন্য জাপানী ভাষায় পরীক্ষা এবং দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে। এই ভিসার আওতায় কর্মীরা তাদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবে না। এই ক্যাটাগরির ভিসা সীমিত সময়ের জন্য নবায়ন করা যাবে কিন্তু দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ভিসায় পরিবর্তন করার জন্য সময় বাড়ানো হবে না। জাপানের ইমিগ্রেশন বিভাগ অবগতি করেছে যে, প্রথম বছরে এই ক্যাটাগরিতে ৪৭ হাজার ৫৫০টি ভিসা দেওয়া হবে। বাকিগুলো আগামী ৫ বছর ব্যাপী দেওয়া হবে। এছাড়া, এই ক্যাটাগরিতে শুধু নার্সিং কেয়ার খাতেই ৬০ হাজার ভিসা দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরি – ২
দ্বিতীয় ক্যাটাগরির এই ভিসায় আবেদনের জন্য কর্মীর ক্যাটাগরি – ১ ভিসা থাকতে হবে। এই ভিসার আবেদন নেওয়া শুরু হবে ২০২১ সাল থেকে। যারা তাদের কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন, তারা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শুধু কন্সট্রাকশন ও জাহাজ নির্মান শিল্পের কর্মীরা এই সুযোগ পাবেন। এই ভিসার আওতায় কর্মীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের জাপানে নিয়ে যেতে পারবেন। এমনকি টানা ১০ বছর সেখানে থাকার পর জাপানে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিও পাবেন।
১৪টি খাতে যে কয়টি ভিসা দেবে নি¤œরূপ ঃ
ক্রমিক নং পদ সংখ্যা ক্রমিক নং পদ সংখ্যা
১ জাপান নার্সিং কেয়ারে ৬০ হাজার ২ রেস্টুরেন্ট খাতে ৫৩ হাজার
৩ কন্সট্রাকশন খাতে ৪০ হাজার ৪ বিল্ডিং ক্লিনিং খাতে ৩৭ হাজার
৫ কৃষি খাতে ৩৬ হাজার ৫০০ ৬ খাবার ও পানীয় শিল্প খাতে ৩৪ হাজার
৭ সেবা খাতে ২২ হাজার ৮ ম্যাটারিয়ালস প্রসেসিং খাতে ২১ হাজার ৫০০
৯ ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি খাতে ৭ হাজার ১০ ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি খাতে ৪ হাজার ৭০০
১১ জাহাজ নির্মান শিল্প খাতে ১৩ হাজার ১২ মৎস্য শিল্প খাতে ৯ হাজার
১৩ অটোমোবাইল মেনটেইনেন্স শিল্প খাতে ২১ হাজার ৫০০ ১৪ এয়ারপোর্ট গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং এন্ড এয়ারক্রাফট মেইনটেইনেন্স (এভিয়েশন) খাতে ২ হাজার ২০০
বিঃদ্রঃ- জাপান সরকার ৫ বছরের মধ্যে সর্বমোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০০ বাংলাদেশী কর্মীকে ভিসা প্রদান করবে।
প্রসঙ্গত, জাপানের শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন কর্মীর ন্যূনতম বেতন বাংলাদেশী মুদ্রায় ঘন্টায় প্রায় ৭০০ টাকা। প্রত্যেক কর্মী দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। তবে, কিছু কিছু খাতে সপ্তাহে ৪৪ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করার সীমাবদ্ধতা আছে। সে হিসাবে একজন কর্মীর মাসিক বেতন হবে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদেশী কর্মীদের বেতন জাপানের স্থানীয় নাগরিকদের সমান অথবা বেশী হতে পারে। আর বেতনের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১/৭২, ইস্কাটন গার্ডেন,
রমনা, ঢাকা-১০০০।
প্রশিক্ষণ শাখা – ০১
বিষয় ঃ জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রেরনে জাপানী ভাষা প্রশিক্ষণ।
বয়স ঃ ২০-৩৫ বছর, বাংলাদেশী বৈধ নাগরিক।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃ এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, ডিপ্লোমা, স্নাতক (পাসকোর্স) ও মাস্টার্স।
সরকার কর্তৃক প্রণীত সকল নিয়মকানুন এবং জাপান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নিয়ামাবলী সকল আবেদনকারীকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ভিসার মেয়াদ ৫ বছর। ডাক্তারী পরীক্ষা ও বৈধ পাসপোর্ট একান্ত প্রয়োজন।