মোঃ মেহেদী হাসান উজ্জল (দিনাজপুর) ফুলবাড়ী:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ১০ মাসে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৭ টাকার মাদক আটক করেন । ২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উক্ত টাকার মালামাল আটক করেন । এর মধ্যে মাদক ও মাদক চোরাচালান বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে ৬৯ টি, গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৬ জনকে। উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ফেন্সিডিল ১৯২৭ বোতল,গাঁজা ২ কেজি ৪৩৫গ্রাম,চোলাই মদ ৪৫৫৫লিটার, ইয়াবাট্যাবলেট ১৮৪পিচ,এ্যালকোহল ২৮০ বোতল, হেরোইন ১৫ গ্রাম, গাঁজার গাছ ৯ টি, মাদকদ্রব্য তৈরীর সামগ্রী ২০০ কেজি। মোবাইল কোট করা হয়েছে ৮৪ টি।
১৬৫ জনকে আটক করে মোবাইল কোটের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হয়। তার মধ্যে ৩৭ টি ঘটনায় ৬৩ জনকে ৭ দিন হতে ২ বৎসর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। ৪৭টি ঘটনায় ১০২ জনকে ১০০/-টাকা হতে ৫০০০/-টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ওয়ারেন্ট এর মোট ৪৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে ২৮ জন সাজা প্রাপ্ত আসামী। দন্ডবিধি আইনে ৫৪ ধারায় ৮ জন, পুলিশ আইনে ৩৪ ধারায় ৯৩ জন সহ বিভিন্ন নিয়মিত মামলায় ১৩৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
অপর দিকে বহু বৎসর যাবত ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ সহ আশপাশ এলাকার মানুষের জমিজমার জাল দলিল প্রনয়ণের মাধ্যমে প্রতারনাকারী চক্র ফুলবাড়ী রেজিঃ অফিসের মহুরী সহ ৩ জনকে ২৫৭ টি সরকারী অফিসারদের নামিও নকল সীল মোহর,নকল ষ্ট্যাম্প সহ তাদেরকে আটক করেন। যাহার মামলা নং-১৪,তারিখ ৩০.০৬.২০১৬ইং। বর্তমান ঐ প্রতারক হাজতে রয়েছেন।
ফুলবাড়ী ত্রাস ডাকাত সরদার মোঃ সাইফুল ইসলাম মোল্লাকে আটক করা হয়। চলতি বৎসর মোট ৪ টি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় মামলাহয়। ৩ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার সহ মোট ৫ জন আসামীকে আটক করা হয়। কাগজপত্র বিহীন মোটর সাইকেল আটকের মধ্যে ৯২৫ টি মামলা দায়ের করা হয়। রেজিঃ বিহীন ৪৬ টি মোটর সাইকেল ফুলবাড়ী থানায় আটক রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোকসেদ আলীর সাথে কথাবললে তিনি জানান, থানার দায়িত্বরত সকল অফিসারদের সহযোগিতায় আইনসৃংখলা রক্ষার্থে এই কর্মকান্ড চালানো হয়েছে। ফলে আমরা সফলতায় এগিয়েছি।
ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবির কড়ানজরদারী ও জনসচেতনতার কারনে চোরাচালান শূন্যের কোটায় ॥
মোঃ মেহেদী হাসান উজ্জল ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির আওতায় সীমান্তে বিজিবির কড়ানজর দারী ও জনসচেতনতার কারনে চোরাচালান, নারীশিশু পাচার,মানুষ হত্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ কোরবান আলী দায়িত্ব ভার পাওয়ার পর সীমান্ত এলাকায় সুধিজনদেরকে নিয়ে সেমিনার এবং মতবিনিময় সভা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার কারনে সীমান্তে বর্তমান কাঁটাতারের বেড়া কেটে কেউ চোরাপথে আর ভারতে যাচ্ছেনা। যার কারনে সীমান্তে সবরকম অবৈধ্য কার্যক্রম বন্ধ হয়েগেছে।
গত ১৯ শে অক্টোবর ২৯ বিজিবির কাটলা সীমান্ত এলাকার মোঃ আবু তাহের ফুলবাড়ীর রুদ্রানী সীমান্তে মোঃ মোজাহার আলীর সাথে পৃথক পৃথক ভাবে সীমান্তে চোরাচালান বিষয়ে কথা বললে তারা জানান এক সময় ব্যাপক চোরাচালান ছিল।
বর্তমান ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ কোরবান আলী সীমান্তে সভা, সেমিনার করে জনসচেতনতা গড়ে তোলার কারনে বর্তমান সবরকম কার্যক্রম শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। আমরা এলাকার মানুষকে খারাপ পথ থেকে সরে এসে ভাল কাজ করার পরামর্শ দিয়েছি।আজ তারা ব্যাবসা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। অনেকে সীমান্তে চোরাপথে কিছু টাকার বিনিময়ে গরু আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী (বি এস এফ ) এর গুলিতে জীবন হারিয়েছে। আমরা অনেককে ঐ পথ থেকে সরেআসতে বলেছি। তাই এ সীমান্তে আর এ সব কার্যক্রম নেই।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ কোরবান আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, সীমান্তে অবৈধ্য পথে চোরাচালালানীরা কাটা তারের বেড়া কেটে গরু আনতে গিয়ে (বি এস এফ) এর হাতে নিহত হত । এটা আমাদের কোন ভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কারন সবায় যে খারাপ লোক তা নয়। ভাল লোকদেরকে অর্থের লোভ দেখিয়ে কিছু খারাপ লোক ঐ পথে নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা অনেক পরিশ্রম করে জনসচেতনতার মাধ্যমে সীমান্তে চোরাচালান ও হত্যা শূন্যের কোটায় এনেছি। এ কাজের জন্য সবার সহোযোগিতা রয়েছে।