
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার আমবাগান এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া গার্মেন্টস কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের হত্যার রহস্য উম্মোচন হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সিএমজি অটোরিক্সাটি জব্দ করেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ৪ আসামীকে গ্রেফতারের পর েএ হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে জানান পাঁচলাইশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ অক্টোবর রাত ৮টার সময় খুলশী থানার আমবাগান ভাঙ্গারপুল এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে খুলশী থানা পুলিশ।পরবর্তীতে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ভিকটিম জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী লায়লা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ফেনী ছাগলনাইয়া থানার পাঠানগর এলাকার মৃত বদিউজ্জামান ছেলে। সে সিইপিজেড এর সি-টেক্স গার্মেন্টসের স্টোর সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৩ অক্টোবর বাড়ী যাওয়ার জন্য সিএনজি যোগে অলংকার মোড়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন জাহাঙ্গীর।আসামীরা নিমতলা বিশ্বরোড থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে অলংকার মোড়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠায়।পথিমধ্যে তার কাছে থাকা নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামীরা তাকে গলা টিপে হত্যা করে এবং খুলশী থানার আমবাগান ভাঙ্গার পুল এলাকায় লাশ ফেলে রেখে সিএনজি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
রাত ৮টার দিকে খুলশী থানা পুলিশ আমবাগান ভাঙ্গার পুল থেকে ভিকটিম জাহাঙ্গীর আলমের লাশ উদ্ধার করে। হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর তদন্তে নামে খুলশী থানা পুলিশ।

পাঁচলাইশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম জানান, খুলশী থানার লোহাগাড়া হাউজিং সোসাইটির মহরম আলীর বাসা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো.নূর হোসেন (৩৫) কে এবং বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে নূর হোসেনের অন্যতম সহযোগী মো. নাছির (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
আসামী নূর হোসেন এর স্বীকারোক্তি মতে তার বাসা থেকে ভিকটিম জাহাঙ্গীরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয় এবং ভিকটিম এর ছেলের জন্য কেনা গুড়ো দুধের প্যাকেট ও খেলনা পুতুল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সকালে আসামী নূর হোসেন ও নাছিরের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া আরেক আসামী মো. মহিন উদ্দিন (২২) কে ওয়ার্লেস গেইট থেকে এবং সিএনজি চালক মো. সোহেল (৩০) কে খুলশী থানার ঝাউতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামী সোহেলের স্বীকারোক্তি মতে ঝাউতলার গ্যারেজ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা (চট্ট মেট্রো- থ-১২-৩০৪৯) উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামীরা পেশাদার অপরাধী এবং সক্রিয় ছিনতাই চক্রের সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে সিএনজি অটোরিক্সা ব্যবহার করে যাত্রীর নিকট থেকে নগদ টাকা মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল হাতিয়ে নেয়।
এসি জাহাঙ্গীর আরো জানান, আসামী নূর হোসেন ও নাছির আজ বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে