
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
পারিবারিক কলহের জের ধরে পটিয়ায় টুম্পা আকতার (২৫) নামের সাত মাসের অন্তস্বত্বা এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের হরিনখাইন এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার পর থেকে স্বামী ওয়াসিম আকরাম ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছে। তাদের সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। নিহত গৃহবধূ টুম্পা আকতার (২৫) একই উপজেলার পূর্ব থানা মহিরা এলাকার মনির হাজীর মেয়ে।
এব্যাপারে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক হিরু বিকাশ জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করে মনাতদন্তের জন্য মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ মৃত্যুর ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি এখনো। অভিযোগ পেলে মামলা নথিভুক্ত হবে বলে জানান তিনি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিনখাইন এলাকার নিজ ঘরের ডাইনিং রুমের ফ্যানের সাথে পড়নের শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশকে খবর দেন স্হানীয়রা। তবে পুলিশ আসার আগেই নিহতের স্বামী লাশটি ঝুলানো অবস্থা থেকে নামিয়ে নিচে রেখে পালিয়ে যান।
এদিকে নিহত গৃহবধূর বাবা মনির হাজী জানান, চার বছর আগে একই ইউনিয়নের ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজন টুম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করাতো। তাদের অত্যাচার সহ্য করেও মেয়ে টুম্পা সংসার করছিলেন।
স্হানীয়রা আরও জানান, নিহত গৃহবধূর স্বামী ওয়াসিম আকরাম প্রবাসি ছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশে আসেন। করোনা মহামারীর কারনে আর যাওয়া হয়নি বিদেশে। পরিবারের নানা ধরনের অভাব অনটনের কারণে গতকাল রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।