ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

খুচরায় আলুর কেজি ৩০ টাকা নির্ধারণ, দর নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

প্রতিকেজি আলুর দাম হিমাগারে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩০ টাকা দরে বিক্রি নিশ্চিত করতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

একই সঙ্গে উল্লেখিত দামে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে আলু বিক্রি করেন সেজন্য কঠোর মরিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ডিসিদের কাছে পাঠানো হয়েছে চিঠি।

চিঠিতে কৃষি বিপণন অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় ১ দশমিক ৯ কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ দশমিক ৯ লাখ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত মোট আলু থেকে প্রায় ৩১ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রপ্তানি হলেও ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, এ মৌসুমে একজন চাষির প্রতিকেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা।

আর আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে তখন প্রতিকেজির আলুর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৪ টাকা। প্রতিকেজি আলু হিমাগার ভাড়া বাবদ ৩ দশমিক ৩৬ টাকা, বাছাই খরচ ০. ৪৬ টাকা ও ওয়েট লস ০.৮৮ টাকা, মূলধন সুদ ও অনান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়।

অর্থাৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্য খরচ ধরে এক কেজি আলু হিমাগার পর্যন্ত সংরক্ষণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২১ টাকা। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায়ে বিক্রিমূল্যের ওপর ২-৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪-৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০-১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ধরে হিমাগারের আলু দাম ২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আলু সংরক্ষণকারীর লাভ হয় কেজিপ্রতি ২ টাকা।

অন্যদিকে আড়তদারি, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেক্ষেত্রে পাইকারি পর্যায়ে দাম পড়ে ২৩ দশমিক ৭৬ টাকা। এর সঙ্গে মুনাফা ধরে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ভোক্তা পর্যায়ে সেটা ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা অযৌক্তিক। কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতিকেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর সারা দেশের হিমাগার মালিকদের কাছে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও হিমাগারে সংরক্ষণকারী কৃষক, বেপারী ও ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় আলু ছাড়ছেন না। কোনো কোনো অঞ্চলে হিমাগার থেকে ধীরগতিতে আলু সরবরাহ হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা সাধারণের সুবিধার্থে হিমাগার থেকে প্রয়োজনীয় আলু সরবরাহ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো।

একই সঙ্গে আলুর দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠার পর সবজিটি মজুদ করে কৃত্রিম সংকট না করার বিষয়ে হিমাগার মালিকদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print