
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারনে বিধিনিষেধ আছে পূজা মন্ডপে। এর উপর টানা তিন দিনের ভারি বৃষ্টি পাতের পর আজ সকাল হতেই আকাশ পরিষ্কার থাকায় পটিয়ার পূজামণ্ডপ গুলোতে দর্শনার্থী-পূজারিদের পদচারণায় উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ দুর্গাপূজার মহানবমী। আগামীকাল সোমবার ভক্তদের কাঁদিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী। তাইতো পূজারীরা দেবীকে প্রাণ ভরে দেখার আজ মন্ডপে মন্ডপে ভিড় করছেন ।
পটিয়ার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায় , টানা কদিনের বৃষ্টির কারণে ঘরবন্দি থাকা দর্শনার্থী ও পূজারিরা আজ সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করছেন । নতুন পোশাক আশাকে সব বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা মণ্ডপ গুলোতে নানা উৎসাহ উদ্দীপনায় উৎসবমুখর পরিবেশ হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠতে চোখে পড়েছে।

সকাল থেকেই পূজা শেষে ভক্ত-অনুরাগীরা মহানবমীর অঞ্জলিতেও অংশ নিয়েছেন।
প্রশাসনের উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রেখেই বিধায় নিবে এবারের দুর্গোৎসব তথা দুর্গাপূজা।
তবে বরাবরের মতোই বাঙালির মনে দুর্গাপূজা সবসময়ই যেন উৎসবের আমেজ।
মুন্সেফ বাজারের কালী মন্দিরের পুজারী চম্পা দাশ জানান, বর্তমান করোনার সময়ের মধ্যে দিয়ে অনেক দিন ধরে বাড়িতে অলস সময় পার করেছি। তাই পূজার এ সময়ে আর বাড়ি বসে থাকতে মনকে বেধে রাখতে না পেরে আজ নবমীর দিনে দুর্গোৎসবের জন্য তাই চলে এলাম।
অনেকেই আবার পুজা মণ্ডপ গুলোর সামনে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে মোবাইলে সেলফি তুলে উৎসবটাকে স্মরনীয় করে রাখতে ছবি তুলতে দেখা গেছে । এমনকি দেবী দুর্গার সাথে ও সেলফি তুলতেও মিস করেননি মন্ডপে আগত দর্শনার্থীরা।
রামকৃষ্ণ মন্দিরে আগত দর্শনার্থী পলাশ বলেন, মহানবমীর আজকের দিনটা চলে গেলেই আবার এক বছরের অপেক্ষা। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মণ্ডপে এলাম সকল ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে।

নবমীতে মণ্ডপে ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। কেন না একদিন পরেই মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দেবীদুর্গা। তিনি পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের চার দিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিজয়ার দিনের অশ্রু। নবমী রাত তাই বিদায়ের অমোঘ পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়।
তবে জরা-জীর্ণতা কাটিয়ে মা দুর্গা আবারো আসছে বছর ফিরবেন, এ প্রত্যাশাতেই সবার প্রশান্তি।
এদিকে আজ রবিবার মহানবমীর দিন সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাছান সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসময় তারা মন্ডপ গুরোর সার্বিক পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।