
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে অপহরণ করা এক স্কুল ছাত্রকে উদ্ধার এবং ৪ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-রাউজান থানার নোয়াপাড়া এলাকার মৃত ইলিয়াছ প্রকাশ বাসুরার ছেলে হাফেজ মো. মহিউদ্দিন হাসান (৩৫),সহযোগী ফটিকছড়ি থানার মো.তকিরহাট বাজার এলাকার আব্দুল মান্নান চৌধুরীর ছেলে মো. রাশেদুল হাসান(৩০) একই এলাকার মৃত আবুল ফয়েজের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম রোহান(২৮) এবং ভোলা জেলার লালমোহন থানার ইলিশা খাঁ বাড়ী ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে মো.সাইফুল খান রানা (২৪)। তারা সকলেই পেশাদার অপহরণকারী বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ জানায়, নগরীর বাদুরতলা আরাকান হাউজিং সোসাইটির নতুনকুড়ি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ জায়েদ বিন ইদ্রিসকে গত ৮ নভেম্বর সুগন্ধা এলাকার একুশে হাসপাতালের সামনে থেকে অপহরণ করে ১৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে নিয়ে যায় একটি চক্র। এর পরপরই ভিকটিমের মা কাজী নিলুফার আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ জায়েদ বিন ইদ্রিসকে উদ্ধার অভিযানে নামে।

পাঁচলাইশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ১১ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে ফটিকছড়ির দূর্গম এলাকা থেকে ভিকটিম নাহিন কে উদ্ধার করে।
নাহিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ফটিকছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ও মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী মহিউদ্দিন হাসানের সাথে তার বন্ধু রাশেদের মাধ্যমে পেশাদার অপহরণকারী দলের প্রধান নজরুল ইসলাম রোহানসহ অন্যান্য অপহরণকারীদের সাথে চুক্তি হয়; মুক্তিপণ হিসেবে আদায়কৃত টাকার ৩৫ ভাগ টাকা অপহরণকারীদের দেওয়া হবে। বাকী টাকা মূল পরিকল্পনাকারী হাসানের কাছে থাকবে। চুক্তির অংশ হিসেবে প্রাথমিক খরচ হিসাবে হাসান অপহরণকারী দলের প্রধান রোহানকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা অগ্রীম প্রদান করে। ঘটনার দিন অপহরণকারীরা ভিকটিম নাহিনকে পাঁচলাইশ থানার একুশে হাসপাতালের সামনে থেকে অপহরণ করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দূর্গম এলাকায় নিয়ে আটক রাখে এবং ভিকটিমের মায়ের নিকট মুক্তিপণ হিসেবে ১৯লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।
গ্রেফতারদের মধ্যে হাসান চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল কাদেরের আদালতে ও রাশেদুল হাসান মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট হারুনুর রশীদ এর আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে । ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।