
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সারা দেশের ন্যায় পটিয়ায় ও স্বাস্থ্য সহকারীদের ৭দিন ধরে চলমান কর্ম বিরতিতে টিকা বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার নারী ও শিশু।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ও বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় শিশু ও নারীরা টিকা নিতে এসে তা দিতে না পারায় হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
জানা যায়, পটিয়া ও কর্ণফূলী উপজেলায় ৫২৮ টি টিকা কেন্দ্র রয়েছে। এর অধিনে প্রতিদিন শত শত নারী ও শিশুরা বিভিন্ন টিকা গ্রহণ করে থাকে। বর্তমানে এক সপ্তাহ যাবৎ এ টিকা কেন্দ্র গুলো নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্ম বিরতির কারনে অচল হয়ে পড়েছে। ফলে টিকা দিতে এসে প্রতিদিন শত শত নারী পুরুষ বাড়ী ফিরে যাচ্ছে। এতে নারী শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি চরম আকার ধারন করেছে।
পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাটিখাইনের ৪২ দিনের শিশুকে টিকা দিতে আসেন রাসেল উদ্দিন বলেন, আমি আমার শিশু সন্তান আনিতাকে টিকা দিতে এসে দেখি হাসপাতালে টিকা কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এতে আমি ও আমার পরিবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি।
মনসা থেকে আসা অভিভাবক কেএম রশিদ বলেন, আমার ১৫ মাসের বাচ্চা ওয়াছেতা নুরিকে এম আর ২য় ডোজ দিতে এসেছি। কিন্তু টিকা কেন্দ্র বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
পৌর সদরের ফজল আহমদের কিশোরী কন্যা শামিমা আকতার বলেন, আমি কিশোরী টিকা দিতে এসেছি। কিন্তু টিকা কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছি। তবে কখন টিকা দিতে পারবো, তা তারা বলতে পারেনি। এভাবে প্রতিদিন পটিয়া-কর্ণফূলীতে অনেক নারী শিশু টিকা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে ভূক্তভোগীরা জানান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় পটিয়া-কর্ণফূলী’তে বিগত সাত দিন ধরে স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা তাদের পদ মর্যদাকে টেকনিক্যাল গ্রেড পদে উন্নীতের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের কর্ম বিরতি পালন করছে। এতে সব টিকা দান কেন্দ্র বন্ধ করে তারা এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
এতে তারা বলেন, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ২০১৮ সাল, ২০২০ সালে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালক আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও অদ্যাবধি কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই যতদিন আমাদের এই দাবি পূরণ করা হবে না আমরা ততদিন বাড়ি ফিরে যাবো না। এতে বক্তব্য রাখেন পটিয়া কর্ণফুলী দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ আহবায়ক অলক দাশ, যুগ্ম আহবায়ক আলী আকবর, সদস্য সচিব এস এম কুদরত-ই-খুদা রকি, মাসুদ করিম আইয়ুব, বিকাশ দে, ওসমান গনী, সুকান্ত দে, নির্বানেশ, সানু মজুমদার সানজিদা আরা মুন্নি নন্দি প্রমুখ। এ দাবি আদায় আন্দোলন বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক অলক দাশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম সাল, দাবি মোদের টেকনিক্যাল’। এ প্রত্যয়ে আমরা অনির্দিষ্ট কালের কর্ম বিরতি পালন করছি। তিনি সরকারকে অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান।