
চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় এক ব্যবসায়ি খুন হয়েছেন। নিহত ব্যবসায়ির নাম জালাল উদ্দিন সুলতান (৪৫)। তিনি সিডিএ পোলের ঘোড়া এলাকার সুলতান আহমদ কন্ট্রাক্টরের ছেলে। হত্যার পর তার লাশ হাত পা বেঁধে বস্তাবন্দি করে ফেলে যায় খুনিরা।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২৯ নম্বর সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সিএমপির ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, কে বা কারা মেরেছে তা এখনো জানতে পারিনি। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যা। খুনিরা হত্যার পর লাশ বস্তায় পুরে হাত পা বেধে ফেলে গেছে বাড়ির কাছে। সকালে এলাকার লোকজন বস্তাভর্তি লাশ দেখে থানায় খবর দিলে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি।

ওসি নিহত জালাল উদ্দিনকে ব্যারিষ্টার সুলতান আহমেদ কলেজের ফাউন্ডার সুলতান আহমেদের ছেলে বলে জানালেও মূলত এ তথ্য ভুল বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী। তারা জানায় নিহত জালাল উদ্দিন সুলতন সুলতান আহমদ কন্ট্রাক্টরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিহত জালাল উদ্দিন সুলতানের নাকে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের ছোট ভাই নিজাম উদ্দিন জানান, বড়ভাই জালাল উদ্দিন সুলতান ১৯ নভেম্বর শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তবে শনিবার দুপুরে তিনি আগ্রাবাদ জামান হোটেলে খেতে যায়। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় দুপুর ১টার সময় তিনি মোগলটুলির দিকে যাচ্ছে। এর পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে বন্দর থানায় গিয়ে জিডি করি। রাতে পুলিশ স্থানীয় ছাত্রলীগের মহসিন নামে এক কর্মীকে জানায়, মোবাইল টেকিং করে পুলিশ জেনেছে জালাল উদ্দিন মোগলটুলি এলাকায় আছে।

এর পরপরই আমরা ৪টা কার একটি মেইক্রোবাস নিয়ে লোকজনসহ মোগলটুলি যাই। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর আজ সকালে তার লাশ মিলেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ এবং হত্যার জন্য দুইজনকে সন্দেহ করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ দুজন হলো সুলতান জালালের বডিগার্ড নাসির উদ্দিন ববি এবং ব্যবসায়িক পাটনার মোস্তাফিজুর রহমান।
পুলিশ জানিয়েছে কি কারণে তাকে হত্যা করেছে বা কারা এ হত্যার সাথে জড়িত তা খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।