
চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দলীয় কার্যলয় নাসিমন ভবনসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় হামলা চালিয়ে সমর্থকদের মারধর করে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক এবং নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ীতে পুলিশ পাঠিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে নাগরিক কমিটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাকলিয়া থানার এস আই জামালকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার (২২জানুয়ারী) সন্ধ্যায় মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক একরামুল করিম স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রটি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা রিটানিং অফিসার হাসানুজ্জামানের কার্যালয়ে নিয়ে যান নাগরিক ঐক্য পরিষদের সদস্য ডা. মোহাম্মদুল হক জনি।
অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিএমপির বিভিন্ন থানায় মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে ভুয়া ঘটনা দেখিয়ে অথবা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক একটি মামলায় ৫০ জনের অধিক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলা দেয়া হচ্ছে। এসব ঘটনায় আমাদের কর্মীরা কোনভাবেই জড়িত না।
গত দুইদিন আগে রাতের বেলায় চট্টগ্রাম বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে বোমা হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, ইটপাথর নিক্ষেপ করার পরও আমাদের মামলা নেয়ার পরিবর্তে কোতোয়ালী থানায় আমাদের প্রায়, শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ আমারা আক্রান্ত হচ্ছি, উল্টো মামলার আসামীও হচ্ছি। কোতোয়ালী থানার মামলায় কাজী রশিদুজ্জামান নামে একজন নিরীহ একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি রাউজান উপজেলার সাবেক মেয়র আব্দুল্লাহ আল হাসানের পুত্র। তার নামে আগে কোন থানায় মামলা বা অভিযোগ নেই।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, আপনি আমাদের আশাস্ত করেছিলেন-নির্বাচনকে উপলক্ষ করে কোন বিএনপি কর্মী বা নেতাদের বাড়ীতে পুলিশ অহেতুক আক্রমন বা হামলা মামলায় জড়াবে না। কিন্তু আজ শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদপত্রে পুলিশী অভিযানের সচিত্র খবর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মো. একরামুল করিম বলেন, রিটারিং অফিসার হাসানুজ্জামান আমাদের আশ্বাস্থ করেছেন আমাদের অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনকে অবিহিত করে পদক্ষেপ নেবেন। ইতোমধ্যে আমাদের অভিযোগের ভিক্তিতে বাকলিয়া থানার এস আই জামালকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সদস্য অ্যাড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, চাকসুর ভিপি মো. নাজিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নকিব উদ্দিন ভুঁইয়া, ডা. মোহাম্মদুল হক জনি।
তবে এসআই প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্বিকার করেন বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন এটা কেউ বলে থাকলে অপপ্রচার। যারা অপপ্রচার চালাছে কাদের জিঞ্জাসা করেন।