
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জনতা ব্র্যান্ড নামে ডিটারজেন্ট পাউডার বানানোর লাইসেন্স নিয়ে বাজারজাত করলেও সেটা বাজারে চলেনা। তাই যে কেউ যেকোন ব্রান্ডের মোড়ক এনে দিলেই তাদের ডিটারজেন্ট পাউডার বানিয়ে দিচ্ছেন প্রস্তুতকারক মোঃ মহিবুল্লাহ। মাত্র নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ডিটারজেন্ট পাউডার বানানোর কোনরকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন মোড়কে ও নামে ডিটারজেন্ট উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন তিনি।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন হাটহাজারী পৌর এলাকায় জনতা এন্টারপ্রাইজ নামের ডিটারজেন্ট তৈরীর কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় অনুমোদনহীন বিভিন্ন নামে ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরীর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন।
ইউএনও রুহুল আমিন জানান, কারখানা মালিক মোঃ মহিবুল্লাহ হাটহাজারী পৌরসভার মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে জনতা ব্র্যান্ড নামে একটি ডিটারজেন্ট পাউডার প্রস্তুতের অনুমোদন নেন। কিন্তু জনতা ব্রান্ড ছাড়াও তিনি SAFELY এবং SAFELY XL নামে আরো দুইটি অনুমোদনহীন ডিটারজেন্ট পাউডার উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছেন। মোঃ মহিবুল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। ডিটারজেন্ট প্রস্তুতের বিষয়ে তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা দক্ষতা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেন নাই। জনতা ব্রান্ডের নামে ডিটারজেন্ট বাজারে বেশি চলেনা তাই যে কেউ তাকে যেকোনো ব্যান্ডের মোড়ক দিলে তিনি ডিটারজেন্ট বানিয়ে দেন।
ইউএনও আরও জানান, অনুমোদনহীন ডিটারজেন্ট জব্দ করে কারখানা সীলগালা করা হয়েছে এবং লাইসেন্স বাতিলের জন্য বি এস টি আই কে পত্র দেয়া হয়েছে।