
ফেনীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের টিউবওয়েল স্থাপনে নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করায় প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় জেলা যুবলীগের সহ- সম্পাদক ও ঠিকাদার হুয়ায়ুন কবিরসহ ৪ ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে ফেনী মডেল থানার পুলিশ এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসাবে তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত তাদেরকে ফেনী জেলা কারাগারে প্রেরণের নিদেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, ফেনী সদর উপজেলার ভূমি অফিসে টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ পায় যুবলীগের ঠিকাদার হুয়ায়ুন কবীর। কাজ নিম্নমানের হওয়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সরেজমিনে তদন্তে যান উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সমেশ আলী। সঠিকভাবে কাজ করতে বললে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে প্রকৌশলীকে মারধর করে হুয়ায়ুন কবীর।
ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সমেশ আলী অভিযোগ করেন, “বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমাকে এসিল্যান্ড সাহেব ফোন দিয়ে বলল, ‘প্রকৌশলী সাহেব এখানে অধিদফতরের টিউবওয়েল স্থাপনের কাজে দুই নম্বরি হচ্ছে, আপনি একটু আসেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কেউ নাই। দুই থেকে তিন মিনিট পর আইয়ুব নামে একটা ছেলে এলো। এর একটু পরেই হুমায়ুন সাহেব তার দলবল নিয়ে এসে আমার সঙ্গে বাক্-বিতন্ডা শুরু করে। একপর্যায়ে তারা মারধর শুরু করে।”
ভূমি অফিসের লোকজনের সহায়তায় ঠিকাদার হুয়ায়ুন কবির, জিলানী ও দেলোয়ারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আইয়ুব মিস্ত্রি নামে একজন পালিয়ে যায়। আহত সমেশ আলীকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, প্রকৌশলী সমেশ আলীকে মারধর করার খবরে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ যায়। হুমায়ন কবিরসহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে এবং এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় এক নং আসামী হুমায়ুন কবির শহরের গাজি ক্রস রোড়স্থ মরহুম মকবুল আহমেদ ছেলে। সে জেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক। একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ঠিকাদার।
ফেনীতে প্রায় সাড়ে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই টিউবওয়েল স্থাপন প্রকল্পের ৪ হাজার ৫২৮ টির মধ্যে ২ হাজার ৩১৪টি নলকূপের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফেনী সদর ভূমি অফিসে টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ শুরু করেছিল ঠিকাদার হুয়ায়ুন।