
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) অফিস:
“মহামারী করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে মসজিদের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে ৫ হাজার টাকা হারে অনুদান প্রদান করলেও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪৪টি মসজিদের ৮৮ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সে আর্থিক অনুদান থেকে রহস্যজনকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ইমাম মোয়াজ্জিনের এসব টাকা নয়/ছয় করেছে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
জানাগেছে, গত বছর দেশের সকল জেলায় অবস্থিত ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩টি মসজিদের প্রত্যেকটির অনুকূলে ৫ হাজার টাকা হারে ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সারাদেশের প্রত্যেক উপজেলার মসজিদগুলো ন্যায় সেই উপহার সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সকল মসজিদে দেয়া হলেও কোপাল পুড়েছে শুধু উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪৪টি মসজিদের ৮৮ জন ইমাম- মুয়াজ্জিনের।
এক বছরেরও তারা পাননি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৫হাজার টাকা। গতবছর ঈদের সময় এই উপহার দেওয়ার ঘোষণায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল অনুমোদিত তালিকায় কোনো ‘প্রকৃত’ মসজিদের তথ্য বাদ পড়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়নসহ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য মহাপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বরাবর আবেদন করতে বলা হয়।
কিন্তু সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪৪ টি মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন টাকা না পাওয়ার বিষয়টি বারবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে জানালেও কোন ফল পাননি।
উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফুলতলা বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম আবদুল হালিম হেলালী বলেন, গত বছর করোনাকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহার দেশের সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা পেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভার সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা ৫হাজার টাকা পেলেও শুধু মাত্র ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪৪ টি মসজিদের ৮৮জন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা পাননি। এক বছরেও এই টাকা না পাওয়ার কারণটা বুঝতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় সন্তুষজনক উত্তর না দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের দায়িত্বে থাকা মোঃ সাব্বির আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেওয়া ঈদ উপহার সবাই পেলেও সোনাইছড়ির মসজিদগুলো না পাওয়াটা দুঃখজনক। প্রশাসনিক জটিলতার কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা অবগত হওয়ার পর নামের তালিকাটা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।