
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি করেছে পুলিশ। এতে আজ রোববার কমপক্ষে চার বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
স্থানীয় মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী অনলাইন গার্ডিয়ান বলেছে, দক্ষিণের ডাউয়ি শহরে নিহত হয়েছেন তিনজন। একজন নিহত হয়েছেন ইয়াঙ্গুনে। এ নিয়ে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর মোট কমপক্ষে ৭ বিক্ষোভকারী নিহত হলেন।
পুলিশ বা ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সুচিকে গ্রেপ্তার করে গত ১লা ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা কেড়ে নেয় সামরিক জান্তা। তারপর থেকে মিয়ানমার এক বিশৃংখল পরিস্থিতিতে। এর আগে বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে তিনজন। তার সঙ্গে আজ রোববার আরো একটি সংখ্যা যুক্ত হলো। ফলে এখন নিহতের সংখ্যা মোট চার।
প্রায় ৫০ বছরের সামারিক শাসনের পর মিয়ানমার সম্প্রতি গণতন্ত্রের পথে এক পা দু’পা করে হাঁটা শুরু করেছিল। কিন্তু ক্ষমতালোভী সামরিক বাহিনী তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আবার। তারা কেড়ে নিয়েছে গণতন্ত্র। এর প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন সর্ব স্তরের মানুষ। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। কিছু দেশ এরই মধ্যে সীমিত আকারে অবরোধ দিয়েছে। ওদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বিরল এক ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি অভ্যুত্থান বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছেন।
আজ রোববারের বিক্ষোভে গুলি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার নাউ নামের মিডিয়া গ্রুপ। তবে তারা বিস্তারিত কিছু বলেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে। ব্যবহার করেছে কাঁদানে গ্যাস। এ ছাড়া ফাঁকা গুলিও করেছে। ওদিকে ইয়াঙ্গুনের বিক্ষোভের স্থানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। মিয়ানমারে বিক্ষোভের প্রধান স্থান হলো এটা। সেখানে পুলিশকে দেখা গেছে নিরাপত্তা গিয়ারে।
ইয়াঙ্গুনের একজন শিক্ষক হেম্যান মে হনিসি বলেছেন, পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে নেমেই স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে। এর আগে কোনো সতর্কতা দেয়নি তারা।
তিনি বলেছেন, ফলে তারা পাশের ভবনগুলোতে আত্মগোপন করেন। এ সময় অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। একটি মেডিকেল স্কুলের বাইরে স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ।