
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফারহাদ হোসেন রুবেল নামে এক কারাবন্দি নিখোঁজ রয়েছে। ফারহাদ হোসেন রুবেল হাজতি নম্বর ২৫৪৭/২১। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানায়।
আজ শনিবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে তার কোন খোঁজ না পেয়ে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সকালে নিয়মিত বন্দি গণনাকালে ওই বন্দির অনুপস্থিতির বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেলেও বার বার যোগাযোগ করেও কারা কর্মকর্তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে বিকালে কারাগারে ‘পাগলা ঘণ্টা’ বাজানো হয়েছে। এছাড়া কারাগারে পুলিশ প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
ফারহাদ হোসেন রুবেল গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আসেন।

এদিকে বন্দি নিখোঁজের ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টা৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম কেন্দ্রিয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো: শফিকুল ইসলাম খান বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি নিজাম উদ্দিন পাঠক ডট নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানার হত্যা মামলার আসামী ফারহাদ হোসেন রুবেল নামে একজন বন্দি কারা অভ্যন্তরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একটি জিড়ি করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনের ‘পানিশমেন্ট’ ওয়ার্ডে থাকতেন হত্যা মামলার আসামী ফরহাদ হোসেন রুবেল। শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেলসহ অন্য আসামিদের রুমে তালাবদ্ধ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শনিবার ভোর ৬টায় আবার কক্ষের তালা খোলার পর যখন হাজতিদের রোলকল করা হচ্ছিল তখন সন্ধান মিলছিল না রুবেল নামের ওই হাজতির। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেও তালাবদ্ধ একটা ভবন থেকে একজন হাজতির হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে কারা অভ্যন্তরে।
পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাদারবাড়ি রেলবিট এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ড হয়। রেলবিটের পাশে মাদকের আসর বসেছিল। মাদক সেবনের একপর্যায়ে একজন আরেকজনের চোখে আলো ফেলে। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তখন ফরহাদ হোসেন রুবেল একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। আমরা অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করেছিলাম।’
সকাল থেকে এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান ও জেলার মো. রফিকুল ইসলাম এবং তিন ডেপুটি জেলারে সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। কোন কর্মকর্তা ফোন ধরছে না।